শেষ আপডেট: 17th September 2024 12:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনশো বছর ধরে লড়াই করে বেঁচে ছিল গাছটি। গত রবিবার আচমকা আসা ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা সামলাতে পারেনি সেটি। শিকড় উপড়ে পড়ে গেছে প্রাচীন কাঠবাদাম গাছটি। যেটির সঙ্গে জড়িয়ে ছিল মাইকেল মধুসূদন দত্তের বহু স্মৃতি। স্বভাবতই মনখারাপ যশোরবাসীর।
বাংলাদেশের যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি এলাকায় কপোতাক্ষ নদের তীরে দাঁড়িয়ে থাকা গাছটির পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে প্রশাসনের তরফে নানাভাবে চেষ্টা হয়েছে সেটিকে পুনরায় আগের জায়গায় বসিয়ে দেওয়ার। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তাতে লাভ হবে না। চেষ্টা করা হবে গাছটির ডাল রোপণ করে বাঁচিয়ে তোলার।
আসলে তিনশো বছরের পুরনো হলেও এর আগেও কাঠবাদাম গাছটি এক ঝড়ে পড়ে গিয়েছিল। একটি ডালে ফের প্রাণ ফেরে। সেই ডালই বৃহৎ বৃক্ষের চেহারা নিয়েছিল। সাগরদাঁড়িতে যাওয়া কবি ভক্ত ও গবেষকেরা অনেকেই কাঠবাদাম গাছটির ছায়ায় সময় কাটাতেন। জায়গাটি বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে রয়েছে। তারা বিশেষজ্ঞদের ডেকে কাঠবাদাম গাছটিকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সুত্রের খবর।
মধুসূদন গবেষক কবি খসরু পারভেজ বলেছেন, মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি লাগোয়া গাছটি কবির বহু স্মৃতির আধার ছিল। গাছটির জীবন বিপন্ন হওয়ায় সকলেরই মনখারাপ।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুভাষ দেবনাথ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সাগরদাঁড়িতে মধুসূদনের ভক্তরা এসে এই গাছের নিচে এসে স্মৃতিকাতর হতেন। অনেকেই কপোতাক্ষ তীরের এই গাছের নিচে বিশ্রাম নিতেন। গাছটি এভাবে উপড়ে পড়ায় যশোরবাসীর মন খারাপ। ওই স্থানে আরেকটি কাঠবাদাম গাছ লাগানোর কথা জানিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
প্রত্নতত্ত্ব দপ্তরের সাগরদাঁড়ি শাখা ইতিমধ্যে গাছটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। ওই সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় কর্তা হাসানুজ্জামান জানান, পড়ে যাওয়া কাঠবাদাম গাছটিকে ডাল থেকে বাঁচিতে তোলা সম্ভব না হলে একই জায়গায় নতুন গাছ লাগানো হবে।