ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 18 April 2025 00:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) অশান্তির ঘটনায় বাংলাদেশকে (Bangladesh) জড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল সে দেশের অন্তবর্তী সরকার (interim government) । প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের (Md Yunus, the Chief Advisor of Bangladesh) প্রেস সচিব শফিকুল আলম (Shafiqul Alom, the press secretary to the Chief Advisor of Bangladesh) বৃহস্পতিবার ঢাকায় এই ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য জানিয়েছেন।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের পাশাপাশি দেশের সরকারি সংবাদসংস্থা বাসস বা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে শফিকুল আলম বলেছেন, ‘মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশের (blaming Bangladesh for communal violence) নাম জড়ানোর যে কোনও ধরনের প্রচেষ্টাকে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি।’
বাংলাদেশ সরকারের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদে মুসলিমদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। তাদের জানমাল বিপন্ন (safety and security of Muslims under threat) । শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার মুসলিমদের ওপর হামলা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। প্রেস সচিব বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতি আর্জি জানাচ্ছে সংখ্যালঘু মুসলিমদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সংহিসতার ঘটনায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতকারীদের হাত আছে বলে নানা মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সরকারিভাবে কোনও সরকারই এমন অভিযোগ করেনি। মিডিয়ার একাংশের বক্তব্য, ভারত সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি বাংলাদেশি দুষ্কৃতকারীদের হাত থাকার কথা দিল্লিকে জানিয়েছে। মিডিয়ায় প্রচারিত খবরের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ দায় এড়াতে পারে না। সেই সুত্রে হিংসার দায় বর্তায় কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপরে।
মিডিয়ায় প্রচারিত এই সংক্রান্ত খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার কড়া বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনার বিপরীতে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনুসের সরকার মুসলিম কার্ড খেলার চেষ্টায় নেমেছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়ন, নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে ভারত সরকার বারে বারে সরব হয়েছে। এ মাসের গোড়ায় ব্যাঙ্ককে মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জবাবে ইউনুস আগের অবস্থানে অনড় থেকে দাবি করেন, ঘটনাগুলি মোটেই সাম্প্রদায়িক নয়। পুরো দস্তুর রাজনৈতিক।
সেখানে মুর্শিদাবাদে দুই সম্প্রদায়ের মানুষই হিংসার শিকার হয়েছে। নিগত তিনজনের দু’জন হিন্দু। একজন মুসলিম। ঘরবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য বিনষ্ট হয়েছে দুই সম্প্রদায়েরই।