শেষ আপডেট: 6th February 2025 10:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সারারাতের পর সকালেও শেখ মুজিবুরের ঢাকার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাঙার কাজ চলছে। সকালে আরও দুটি ক্রেন আনা হয়। অদূরে শেখ হাসিনার বাড়ি সুধা সদনেও আগুন দেয় উম্মত্ত ছাত্র-জনতা। সেই বাড়ির একতলার আগুন নেভানো হলেও দোতালা আগুন জ্বলছে।
ঢাকার বাইরে রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, রংপুর, সিলেটেও রাতভর মুজিবকে মুছে ফেলার কাজ চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে শাবল, কুড়ুল হাতে ঘুরে ঘুরে মুজিবের অবশিষ্ট মূর্তি, ম্যুরাল এবং শেখ হাসিনার নাম লেখা ফলক গুঁড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে চলে উল্লাস।
হামলা চালানো হয় আওয়ামী লিগের নেতাদের ঘরবাড়িতেও। কুমিল্লায় আওয়ামী লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়িতে আগুন দেওয়ার পর ভাঙা হয়। কুষ্টিয়ায় হামলা করা হয় আওয়ামী লিগের আর এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের বাড়িতে। বাংলাদেশের দক্ষিণ প্রান্তের জেলা ভোলা সদরে আওয়ামী লিগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদের বাড়িতে বেশি রাতে আগুন দেয় জনতা।
উন্মত্ত ছাত্র জনতা বারে বারে স্লোগান দেয় ‘নারায়ে তকবির, আল্লাহ আকবর।’ ফিরে আসে গত বছরের ৫ অগাস্টের পরিস্থিতি। সারা রাত ক্যাম্পাসে ভাঙুচর চলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও। সেখানেও মুজিব ও হাসিনার নাম লেখা যাবতীয় ফলক মুছে দেয় ছাত্ররা। ছাত্ররা ভঙ্গস্তুপের উপর জুলাই-গণবিপ্লব, বিজয়-২৪ ইত্যাদি লিখে দেয়।
একাধিক সুত্রে জানা গিয়েছে, দেশের কোথায় এই ধ্বংসযজ্ঞে পুলিশ বা সেনা কোনও বাধা দেয়নি। ধানণ্ডিতে মুজিবের বাড়িতে সেনা প্রবেশ করলেও তারা ফিরে আসতে বাধ্য হয়। দেখা যায়, ছাত্র জনতার ধাওয়া খেলে মিলিটারি দ্রুত পা চালিয়ে এলাকা ছাড়ছে।
শেখ মুজবিরের ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি ছিল জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সেটির অদূরে ৫/১ নম্বর বাড়িটি শেখ হাসিনার। আসলে সেটি তাঁর স্বামী প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিঁয়ার বাড়ি। বিরোধী নেত্রী থাকাকালে হাসিনা ওই বাড়িতে থাকতেন।