শেষ আপডেট: 7th January 2025 19:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে? প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম মঙ্গলবার সরকারের তরফে দুটি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলি যদি পুরো মাত্রায় রাষ্ট্র সংস্কার চায় তাহলে ২০২৬-এর মাঝামাঝি নাগাদ ভোট হতে পারে।
দ্বিতীয় প্রস্তাব হল, চলতি বছরের ডিসেম্বর। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলি যদি পুরো সংস্কার না চায় তাহলে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভোট হতে পারে। অর্থাৎ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ ভোটের সময় নিয়ে তিনি কৌশলে রাজনৈতিক দলগুলির কোর্টেই বল ঠেলে দিয়েছেন বলে মনে করছে সে দেশের রাজনৈতিক মহল।
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা করার কথা। কমিশনের সুপারিশগুলি নিয়ে একপর সরকার রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করবে।
ইতিমধ্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামি রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে তাদের সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করেছে। জনসমক্ষেও জানিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের খবর, কমিশনগুলির সুপারিশের সঙ্গে বিএনপি ও জামাতের অবস্থান ভিন্ন হতে পারে। ফলে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো কঠিন হবে। সেই সম্ভাবনার দিকটি বিবেচনায় রেখে প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস একটি জাতীয় ঐক্য কমিশন গঠন করেছেন। তিনি নিজে হয়েছেন ওই কমিশনের চেয়ারম্যান।
রাজনৈতিক মহলের চর্চার বিষয় এক বছরের মধ্যে দলগুলির মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব নাও হতে পারে। তবে বিগত কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনের জন্য রোড ম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছিল। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মঙ্গলবার দুটি রোড ম্যাপের কথা জানান। গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচের সম্ভাব্য সময়সীমা হিসাবে এই দুটি সময়ের কথাই জানিয়েছিলেন। জবাবে বিএনপি-সহ রাজনৈতিক দলগুলি নির্দিষ্ট ঘোষণা দাবি করছিল। মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব দুটি সময়সীমার কথা জানিয়ে রাজনৈতিক দলের কোর্টে বল ঠেলে দিলেন।
ভোটের সময় নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোতে সবচেয়ে বড় সমস্যা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামিকে নিয়ে। বিএনপির অবস্থান হল, সম্ভব হলে কালই ভোট হোক। অন্যদিকে, জামাত দ্রুত নির্বাচনের পথে হাঁটার পক্ষপাতী নয়। বিএনপি মনে করছে, যত দ্রুত ভোট হবে ততই তাদের ক্ষমতায় ফেরা সহজ। দিন যত গড়াবে, ততই সম্ভাবনা কমে আসবে। অন্যদিকে, জামাত চাইছে অন্তর্বর্তী সরকারের জমানা দীর্ঘায়িত করে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে নেওয়া। কারণ, ভোটে জামাতের ভাল ফল করার সম্ভাবনা কম। বাংলাদেশে কখনই নির্বাচনে তারা সফল হয়নি।