শেষ আপডেট: 25th June 2024 17:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গঙ্গা ও তিস্তার জল নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কুশলী অবস্থান নিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর কথায়, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সে বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দু’জনের সঙ্গেই আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। শুধু তাই নয়, ভারতের প্রায় সব দলের নেতাদের সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ভাল।
মঙ্গলবার ঢাকায় তাঁর সদ্য সমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন হাসিনা। সেখানে তিনি তিস্তা নিয়ে ভারতকে আশার কথা শুনিয়েছেন। হাসিনার সদ্য সমাপ্ত সফরে ঠিক হয়েছে বাংলাদেশের ভিতরে থাকা তিস্তা নদীকে ঘিরে সে দেশের সরকারের মহা পরিকল্পনায় ভারত আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন, খুব শিগগির ভারতের একটি কারিগরি দল ঢাকা যাবে।
সেই প্রসঙ্গে হাসিনা বলেন, তিস্তা নিয়ে চিন একটা পরিকল্পনা জমা করেছে। ভারতও করবে বলেছে। আমরা দুই দেশেরটি দেখে যেটা বাংলাদেশের জন্য উপযোগী হয় সেটা বাস্তবায়ন করব। এরপর তিনি যোগ করেন, তিস্তার জল নিয়ে অনেক দিন ধরে সমস্যা মিটছে না। ভারত যদি আমাদের প্রকল্পটা করে দেয় তাহলে তো খুবই ভাল হয়।
সফরে গঙ্গার জল চুক্তি রিনিউয়াল নিয়ে কথা হয়। হাসিনা জানান, ওই চুক্তি ২০২৬-এ রিনিউ হওয়ার কথা। তা যদি নাও হয় তাহলেও সমস্যা নেই। বাংলাদেশ আগের মতোই জল পেতে থাকবে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, গঙ্গা চুক্তির নবীকরণ নিয়ে রাজ্য সরকারকে কিছুই জানানো হয়নি।
হাসিনার সদ্য সমাপ্ত সফরে কলকাতা ও রাজশাহীর মধ্যে নতুন ট্রেন এবং কলকাতা-চট্টগ্রাম বাস সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ব্যাপারে বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলি অভিযোগ তুলেছে হাসিনা ভারতের কাছে দেশকে বিকিয়ে দিচ্ছেন। এই ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে যে রেলপথগুলি চালু ছিল সেগুলিই উম্মুক্ত করা হচ্ছে। এরফলে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে। তাঁর কথায়, আমরা কি জানালা-দরজা বন্ধ করে বসে থাকব।
সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা স্মরণ করার পাশাপাশি হাসিনা বলেন, একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যুদ্ধ শেষ হওয়া মাত্র ভারত সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। এমন দৃষ্টান্ত বিরল। বিশ্বের বহু দেশ আর এক দেশে সেনা পাঠিয়ে আর ফেরত নেয়নি।