শেষ আপডেট: 14th August 2024 12:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শেখ হাসিনার পর আওয়ামী লিগের অন্য নেতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লিগের দুই বর্ষীয়ান নেতা আনিসুল হক এবং সলমন এফ রহমানকে ঢাকার সদর ঘাট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরা ছদ্মবেশ ধারণ করে পালাচ্ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত।
এদিকে, বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, সাবেক সরকারের অনেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লিগের বেশ কিছু নেতা বর্তমানে সেনা বাহিনীর আশ্রয়ে রয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা তাঁদের আশ্রয় দিয়েছি। কারণ, তাঁদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। ধর্ম-বর্ণ-দল-মত নির্বিশেষে কারও জীবনের ঝুঁকি থাকলে আমরা তাঁদের আশ্রয় দিয়ে থাকি। সেনা প্রধান বলেন, আমরা চাই না এই মানুষেরা বিচার বহির্ভূত হামলার শিকার হোন।
মঙ্গলবারই ঢাকার একটি আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া খুনের মামলায় পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই মামলায় আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ায়দুল কাদের-সহ দলের আরও পাঁচ নেতার নাম রয়েছে। অভিযোগ আনা হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক প্রধান এবং সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের বিরুদ্ধেও।
হাসিনা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন আসাদুজ্জামান খান। বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা মঙ্গবার ওই সাবেক মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দিয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আলি আরাফত এবং টেলিকম মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের। পলক-সহ আওয়ামী লিগের বহু নেতা-মন্ত্রীর নাম ইমিগ্রেশন বিভাগকে জানিয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, এঁদের দেশ ছাড়তে দেওয়া যাবে না। আটকাতে হবে। সেই মতো ক’দিন আগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দেশ ছাড়ার সময় ঢাকা বিমানবন্দরে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।