শেষ আপডেট: 6th August 2024 20:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সেনা প্রধানের আশ্বাসেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বরং বাংলাদেশে হিংসার ঘটনা ক্রমেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন আবহে বাংলাদেশের সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আর কতদিন ভারত সরকার এদেশে রাখবে তা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা ডেকান হেরাল্ড সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারত ও বাংলাদেশের উভয় নিরাপত্তা সংস্থার সমন্বয়ে সোমবার ভারতের আকাশে প্রবেশ করেছিল হাসিনার বিমান। তবে ১৯৭৫ সালের মতো এবারে দীর্ঘ সময় (সেবারে ৬ বছর ছিলেন) হাসিনাকে ভারতে রাখার পক্ষপাতী নয় নয়াদিল্লি। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের আন্দোলনের আঁচ ভারতেও এসে পড়তে পারে। ইতিমধ্যে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নজরদারিও।
অন্যদিকে দেশত্যাগী শেখ হাসিনার এই মুহূর্তে ভারত ছেড়ে অন্য দেশে বিশেষত ব্রিটেনে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে আসছে বলে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর। মঙ্গলবার ব্রিটিশ বিদেশ মন্ত্রকের সূত্র জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তিকে রাজনৈতিক আশ্রয় বা অস্থায়ী শরণার্থী হিসেবে অনুমতি দেওয়ার বিধি অভিবাসন আইনে নেই।
কের স্টার্মার নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া ব্যক্তি প্রথম নিরাপদ আশ্রয় পাওয়া দেশের কাছে এই অনুমতি চাইতে পারেন। কিন্তু অস্থায়ীভাবে বেড়াতে আসা কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিধি নেই।
তবে একথাও ঠিক যে অতীতে একাধিক রাষ্ট্রনেতাকে বিপদের দিনে সুরক্ষা দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে ব্রিটেনের। যেমন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো এবং নওয়াজ শরিফ।
১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ এবং ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেনজির। তাঁর বাবা জুলফিকার ভুট্টো একজন পিপিপি নেতা ছিলেন। সামরিক অভ্যুত্থানে তাঁকে হত্যা করা হয়। বেনজির এবং তার মা পিপিপির নিয়ন্ত্রণ নেন কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
একইভাবে নওয়াজ শরিফ তিন মেয়াদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে চার বছর তিনি যুক্তরাজ্যে ছিলেন। পরে ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর তিনি ফের পাকিস্তানে ফিরে আসেন। হাসিনার ক্ষেত্রেও তেমনটা হয় কি না দেখার। প্রসঙ্গত, হাসিনার বোন রেজিনার ক্ষেত্রে অবশ্য এই সমস্যা নেই। তিনি আগে থেকেই ব্রিটেনের নাগরিক।
তবে বিষয়টি যেহেতু খুবই গোপনীয়তার মধ্যে রয়েছে, তাই হাসিনার বর্তমান আশ্রয়স্থল ও গতিবিধি সম্পর্কে কোনও খবরই মিলছে না।