শেষ আপডেট: 16th January 2025 21:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে বহু চর্চিত জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে মহম্মদ ইউনুসের ডাকা বৃহস্পতিবারের বৈঠকে শেষ পর্যন্ত যোগ দেয় বিএনপি। দলের স্থায়ী সমিতির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে অংশ নেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ এই নেতা অবশ্য জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। বৈঠকে তিনি বলেন, গণ অভ্যুত্থানের পাঁচ মাস পর এই ধরনে ঘোষণার সত্যিই কোনও প্রয়োজন আছে কি?
শেখ হাসিনাকে উৎখাতের আন্দোলন শুরু হয়েছিল গত বছর জুলাইয়ে। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযুদ্ধ কোটা বাতিলের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন শেষ পর্যন্ত হাসিনা সরকারকে উৎখাতের লড়াইয়ে পর্যবসিত হয়। সেই আন্দোলন নিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র জারির উদ্যোগ নেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে ইউনুস সরকার ঘোষণা করে তারাই সব দলকে ডেকে এই ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেবে।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি-সহ বেশিরভাগ দল বৃহস্পতিবারের বৈঠকে অংশ নিলেও যোগ দেয়নি বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি-সহ কয়েকটি ছোট পার্টি।
সংশয় তৈরি হয়েছিল বিএনপির যোগদান নিয়েও। খালেদা জিয়ার দলের একাধিক নেতা জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। জানা গিয়েছে সরকারের তরফে বিএনপির কার্যনির্বাহী সভাপতি তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুরোধ করা হয় যাতে তাঁর দল সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেয়।
শেষ পর্যন্ত সালাউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে যোগ দিলেও তিনি গোড়াতেই জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, একদিন পর এই ঘোষণাপত্রের সত্যিই কোনও প্রয়োজন আছে কি? তাঁর বক্তব্য, ঘোষণাপত্র যদি তৈরি করতেই হয় তাহলে শুধু জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনের মধ্যে তা সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে টানা পনেরো বছর বিএনপির নেতৃত্বে সহযোগী দলগুলি আন্দোলন করেছে। আন্দোলনের সেই ইতিহাসও উল্লেখ করতে হবে ঘোষণাপত্রে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দলগুলির সঙ্গে সরকারের আলোচনা অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে সব দলের প্রতিনিধিকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে।