শেষ আপডেট: 19th November 2023 18:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন-সহ কোনও ভোটেই অংশ নিতে পারবে না জামাই-ই-ইসলামি। বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্ট এই সংক্রান্ত মামলায় হাই কোর্টের আদেশ বহাল রাখল। রবিবার দেশটির প্রধান বিচারপতি ওয়াবদুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রকৃতপক্ষে এই ব্যাপারে জামাতের আপিল মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপি’র রাজনৈতিক মিত্র হিসাবে পরিচিত জামাত-ই-ইসলামির বিরুদ্ধে দেশে উগ্র মৌলবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনেও জামাতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ ছিল। এখনও সে দেশে পাকিস্তানপন্থী শক্তি হিসাবে পরিচিত এই দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলি।
রাজনৈতিক দল হিসাবে তাদের স্বীকৃতি বাতিলের দাবিতে ২০০৯ সালে হাই কোর্টে মামলা হয়। ২০১৩ সালে হাই কোর্ট জামাতের নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন বা স্বীকৃতি বাতিল করে রায় দেয়। তারপর আরও পাঁচ বছর আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৮ সালে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন জামাত-ই-ইসলামির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে।
সেই নির্দেশ এবং হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিল দলটি। এবার তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ে দ্রুত মামলার শুনানি দাবি করেছিল। রবিবারের রায়ের ফলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না এই উগ্র ইসলামিক সংগঠনটি। স্থানীয় কোনও নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবে না ওই দল।
যদিও শেখ হাসিনার প্রশাসন সম্প্রতি জামাতকে ঢাকায় সরকার বিরোধী প্রতিবাদ সভা করার অনুমতি দিয়েছিল। প্রায় এক যুগ পর এই সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর রাস্তায় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে গত ২৮ অক্টোবর। ওই দিন বিএনপি’র ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে ওঠে ঢাকা। পুলিশ ও বিএনপি’র সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিএনপি এখনও ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তে অনড়।
প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নিলে অতীতের মতো এবারও জামাত তাদের সঙ্গী হবে, এমনটাই বোঝাপড়া ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে জামাতের ভোটে অংশ নেওয়ার রাস্তাই বন্ধ হয়ে গেল।