শেষ আপডেট: 29th July 2024 21:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চলেছে শেখ হাসিনার সরকার। জমিয়তে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লিগ ও তাদের সহযোগী ১৪ দলের জোট। সন্ধ্যায় গণভবনে শরিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, কিছুদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে সরকার।
উগ্র ইসলামিক মৌলবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী জামাত ইসলামী বাংলাদেশে 'জামাত' নামে পরিচিত। অন্যদিকে, তাদের ছাত্র সংগঠনটি 'শিবির' নামে খ্যাত। আগে সংগঠনটির নাম ছিল ইসলামী ছাত্র সংঘ। দুটি সংগঠন একত্রে 'জামায়াত-শিবির' নামে পরিচিত।
বাংলাদেশ সরকারের অভিযোগ, কোটা বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের ঢাল করে সরকারকে উৎখাতের চেষ্টায় ছিল জামাত-শিবির। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪৫ জন ছাত্র। বাকিরা অন্যান্য পেশার মানুষ। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা হচ্ছে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, হাসিনা সরকারের সোমবারের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। হাই কোর্টের রায়ে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালে জামাতের নিবন্ধন বাতিল করে। এ বছরের গোড়ায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত বহাল রাখায় জামাত বছরের গোড়ায় অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। এবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে জামাত প্রকাশ্যে কার্যকলাপ করতে পারবে না। সাংবাদিক বৈঠক, জনসভা ইত্যাদিও নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
ঢাকার রাস্তার জামাতের ছাত্র সংগঠন শিবিরের মিছিল (ফাইল চিত্র)
ওই দেশের রাজনৈতিক মহল ও সুশীল সমাজের বড় অংশের মতে জামাত-শিবির এবং হেফাজতে ইসলাম প্রবল শক্তিধর হয়ে উঠেছে। কম-বেশি সব রাজনৈতিক দলেই প্রভাব তৈরি করেছে। বাংলাদেশে এই মহলকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বাদে বাকি প্রায় সব দল মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি বলে অভিহিত করে থাকে।