শেষ আপডেট: 6th November 2024 10:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চট্টগ্রাম শহরের হাজারি গলি এলাকার পরিস্থিতি বুধবার সকালেও থমথমে। সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী এলাকা ঘিরে রেখেছে। সরকারি সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় সেনা-পুলিশের যৌথ বাহিনী হামলাকারীদের তালিকা তৈরির জন্য বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু করেছে। গ্রেফতারি এড়াতে এলাকা ছাড়া হিন্দু পুরুষেরা।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে নব্বই ভাগই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। সেনা ও পুলিশের কয়েকজনও আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে সেনা-পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। পাল্টা বিক্ষোভকারীরা অ্যাসিড ছোড়ে। তাতে দু'জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রামের হাজারি গলি বন্দর শহরের সোনা ও ওষুধ ব্যবসার পাইকারি ব্যবসা কেন্দ্র। দিনে কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন হয় ওই বাজারে। সেখানকার ব্যবসায়ী মহম্মদ ওসমান দিন কয়েক আগে সামাজিক প্রচার মাধ্যমে হিন্দু ধর্মীয় সংস্থা ইসকনের নিন্দামন্দ করে পোস্ট দেন বলে অভিযোগ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ওই ব্যক্তির দোকান আক্রমণ করে। তাঁর দোকান ভাঙচুর করা হয়। চাপের মুখে তিনি ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দেন।
অভিযোগ, উত্তেজনা থেমে যাওয়ার ঘণ্টা দুয়েক পর সেনা ও পুলিশ এলাকায় অভিযান শুরু করে। হিন্দু সংগঠনগুলির অভিযোগ, জামায়াতে ইসলামির চাপে শান্ত এলাকা অশান্ত করে তোলে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। তারা সন্ধার ঘটনার ভিডিও দেখে হিন্দু ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার অভিযান শুরু করে। তাতেই ফের উত্তেজনা চরমে ওঠে। এলাকার হিন্দুরা প্রতিরোধ শুরু করে। সেনা-পুলিশের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। গভীর রাত পর্যন্ত দুই তরফের লড়াই চলে। নির্বিচারে গুলি চালায় সেনা পুলিশ।
হিন্দু সংগঠনগুলির বক্তব্য, হাজারি গলির সোনা ও ওষুধের ব্যবসার আশি ভাগই হিন্দুদের দখলে। দীর্ঘদিন ধরেই জামাতের লোকজন ওই এলাকায় হিন্দুদের ব্যবসা দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। মঙ্গলবারের ঘটনাকে হাতিয়ার করে তারা পুলিশ ও সেনাকে কাজে লাগায়।
একই সঙ্গে ইসকনকে বিপাকে ফেলাও তাদের উদ্দেশ্য বলে হিন্দুরা মনে করছে। বাংলাদেশে গত ৫ অগাস্টের পর হিন্দুদের উপর লাগাতার হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যে সাধু, সেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই দেশদ্রোহিতার ধারায় মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতেও হিন্দুরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।