শেষ আপডেট: 18th July 2024 13:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাংলাদেশে কোটা সংরক্ষণ আন্দোলন নিয়ে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। রাজপথে নেমেছেন পড়ুয়ারা। সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ এবং শাসকদল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজধানী ঢাকা সহ একাধিক জেলা কার্যত বনধের চেহারা নিয়েছে। এই অশান্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের জন্য বিশেষ বার্তা দিল ভারতীয় হাই কমিশন।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে একটি 'অ্যাডভাইসরি' প্রকাশ করা হয়। যেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় কমিউনিটির সদস্য এবং বাংলাদেশে পড়তে আসা পড়ুয়াদের বাইরে না বেরোনোর উপদেশ দেওয়া হয়েছে।
Advisory on the ongoing situation in Bangladesh. pic.twitter.com/nSMsw9hWp0
— India in Bangladesh (@ihcdhaka) July 18, 2024
একইসঙ্গে হাই কমিশন জানিয়েছেন, কোনও রকম জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে বাংলাদেশের ভারতীয়রা যেন হাই কমিশন এবং অ্যাসিসট্যান্ট হাই কমিশনের সঙ্গে এমার্জেন্সি নম্বরে যোগাযোগ করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার অ্যাসিসট্যান্ট হাই কমিশনের এমার্জেন্সি নম্বরগুলি হল-
ঢাকা- ৮৮০-১৯৩৭৪০০৫৯১
রাজশাহি- ৮৮০-১৭৮৮১৪৮৬৯৬
চট্টগ্রাম- ৮৮০-১৮১৪৬৫৭৯৭/ ৮৮০-১৮১৪৬৫৪৭৯৯
সিলেট- ৮৮০-১৩১৩০৭৬৪১১
খুলনা- ৮৮০-১৮১২৮১৭৭৯৯
সবকটি নম্বরে হোয়াটঅ্যাপও করা যাবে।
কোটা বিতর্কে দফায় দফায় রোজই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বাংলাদেশে। আন্দোলনের আঁচে জ্বলছে ঢাকা-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। যানবাহন নেই বললেই চলে। বৃহস্পতিবার যানবাহনের অভাবে অফিসকাছারিও অচল হয়ে পড়েছে।
আন্দোলনকারীদের দাবি, এই সংরক্ষণের জন্যই সরকারি চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন না সাধারণ মেধাবীরা। অন্যদিকে, হাসিনা সরকারের মত, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতেই তাঁদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ। সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে প্রাথমিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলন শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে জাহাঙ্গির নগর এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও। শেখ হাসিনার দল, আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন, ছাত্র লিগের নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ বাধে আন্দোলনকারীদের।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্বিবদ্যালয় চত্ত্বরে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের রবার বুলেটে দশ জন আহত হন বলে খবর। সংঘর্ষ হয়েছে চট্টগ্রামেও। ঢাকা থেকে দেশের নানা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে আছে। কয়েকটি জায়গায় টোল প্লাজায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোটা বিরোধী আন্দোলনের পাল্টা সমাবেশের ডাক দিয়েছে একাধিক সংগঠন।