হিংসার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে সিরাজগঞ্জ জেলায় এনায়েতপুর থানায়।
শেষ আপডেট: 4 August 2024 16:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। প্রতিবেশী দেশটিতে বসবাসকারী ভারতীয়দের সদা সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদিও ভারত সরকার সরকারিভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
বাংলাদেশের সিলেটে অবস্থিত ভারতীয় উপ দূতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার যে কোনও পরিস্থিতিতে ভারতীদের যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। +৮৮-০১৩১৩০৭৬৪০২-নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে বলে জানিয়েছে একটি সর্ব ভারতীয় ইংরিজি টিভি চ্যানেল।
এর আগে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় বাংলাদেশে পড়াশুনো এবং চাকরি সুত্রে যাওয়া বহু ভারতীয় দেশে ফিরে আসেন। সেই সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ঢাকা-সহ বিভিন্ন শহরে অবস্থিত হাই কমিশন অফিস।
কোটা বিরোধী আন্দোলনের পর বাংলাদেশে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে গণ বিক্ষোভ। রবিবার থেকে আন্দোলনকারীরা অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লিগ সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ঢাকা সহ দেশটির ১৪ জেলা অশান্ত। সারাদিনে দফায় দফায় সংঘর্ষে তিন পক্ষের মোট ৯৩জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত কয়েকশো। অধিকাংশের শরীরে বুলেটের আঘাত রয়েছে।
হিংসার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে সিরাজগঞ্জ জেলায় এনায়েতপুর থানায়। বিক্ষোভকারীরা থানায় ঢুকে ১৩জন পুলিশ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করে। ঢাকায় বাংলাদেশ পুলিশের সদর দফতর থেকে সন্ধ্যায় জানানো হয়, শুধু রবিবারেই ১৪জন পুলিশ কর্মীকে হত্যা করেছে আন্দোলনকারীরা। আহত পুলিশ কর্মীর সংখ্যা তিনশোর বেশি।
রবিবার আওয়ামী লিগের বহু নেতা-কর্মীও প্রাণ হারান সংঘর্ষে। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে নরসিংদীতে। সেখানে একটি উপাসনালয়ে শাসক দলের ছয় নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
সোমবার পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে পারে। আন্দোলনকারীরা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। গোটা দেশের মানুষকে রাজধানীতে জড়ো হতে আহ্বান জানিয়েছে তারা। সরকার রবিবার সন্ধ্যা ৬’টা থেকে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু বলবৎ করলেও আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করার ডাক দিয়েছে।