শেষ আপডেট: 5th November 2024 11:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামী জানুয়ারীতে ঢাকার দশটি রাস্তাকে 'নো হর্ন রোড' ঘোষণা করতে চলেছে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করে চলতি আইন সংশোধন করবে।
নিত্যদিন যানজটে জেরবার থাকা শহর ঢাকা যখন শব্দ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে রাস্তায় হর্ন বাজানো বন্ধের পথে পা বাড়ানোর কথা ভাবছে তখন কলকাতার এমন কোনও পরিকল্পনা আছে কি? কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) রুপেশ কুমারের সঙ্গে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তাঁর বক্তব্য, কলকাতা পুলিশ এখনও শহরে কোনও রাস্তায় হর্ন বাজানো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বন্ধ করার ভাবনাচিন্তা করেনি। তাঁর বক্তব্য, শহরে নো হর্ন জোন আছে। হাসপাতাল, স্কুল, কলেজের পাশের রাস্তায় হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ।
কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের শীর্ষ কর্তার কথায়, এই শহরে হর্ন বাজানো পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি না। তাছাড়া, সামনের গাড়ি, পথচারীকে সতর্ক করার জন্যও হর্ন বাজানোর দরকার হয়। নো হর্ন রোডেও সে প্রয়োজন হতে পারে। তিনি আরও বলেন, গাড়ি যাতে অনাবশ্যক হর্ন না বাজায় সে চেষ্টা করা হয়।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রাস্তায় যানজটের কারণেই শব্দ তাণ্ডবও বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করেছে। সামনে গাড়িকে তাড়া দিতে তারস্বরে হর্ন বাজানো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে সে দেশে।
ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেটের অবস্থাও একই। যাটজট পেরিয়ে এগতে গিয়ে গাড়ি চালকেরা টানা হর্ন বাজানোয় শব্দ যন্ত্রণায় জেরবার হতে হচ্ছে শহরবাসীকে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে আওয়ামী লিগের এক নেতা বলেন, এই ভাবনা প্রমাণ করে, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড রোড, এক্সপ্রেসওয়ে ইত্যাদি তৈরি না হলে নো হর্ন রোড ঘোষণার কথা কেউ কল্পনাও করতে পারতেন না।
যানজটের মোকাবিলায় বছর চল্লিশ আগে কলকাতায় দশটি রাস্তায় 'ওয়ান ওয়ে' ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। গোড়ায় মনে করা হয়েছিল, বাস্তবে এই ব্যবস্থা বলবৎ করা কঠিন হবে। গোড়ায় সমস্যা হলেও তা কার্যকর করা গিয়েছে। তাতে যানজটের সমস্যা অনেকটাই মিটেছে।
কলকাতায় পার্ক স্ট্রিট, রেড রোডে হর্ন না বাজালেও চলে। কিন্তু শহরের বাকি রাস্তায় বেলাগাম হর্নের শব্দে জেরবার হতে হয়।
বাংলাদেশের পরিবেশ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ঢাকার দশটি রাস্তা বাছাই করার কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে পুলিশকে। সেই সঙ্গে পরিবেশ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, দেশের ৬৪ জেলায় একটি করে খালকে মডেল হিসাবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। খাল সংস্কারের পাশাপাশি সৌন্দর্যায়নের কাজও করা হবে।