শেষ আপডেট: 3rd December 2024 09:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজমির শরিফকে হিন্দু মন্দির দাবি করে গত সপ্তাহে আদালতে মামলা দায়ের করেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। লাগোয়া একটি প্রাচীন মসজিদ ‘আধাই দিন কা ঝাঁপড়া’-কেও মন্দির দাবি করে এবার প্রচারে শুরু করল হিন্দুত্ববাদীরা।
আজমেরের ডেপুটি মেয়র নীরজ জৈন এই ব্যাপারে একটি লম্বা বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘আধাই দিন কা ঝাঁপড়া’ (আড়াই দিনের মেলা বা সমাবেশ) মসজিদটি আসলে একটি হিন্দু মন্দির এবং সংস্কৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। সেগুলি ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছে। নালন্দা এবং তক্ষশিলার মতো এই প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এভাবেই ভারতের শিক্ষা ও সংস্কৃতির উপর আঘাত হানা হয়।
রাজস্থানের আজমির শহরে অবস্থিত ‘আড়াই দিন কা ঝাঁপড়া’ একটি ঐতিহাসিক মসজিদ হিসাবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকেই সেটি আর্কিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। ফলে সেখানে প্রতিদিন নমাজ পাঠেরও সুযোগ নেই।
জৈন ধর্মাবলম্বীরা মসজিদটিকে তাদের প্রাচীন মন্দির দাবি করে বলেছে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের সমীক্ষাতেও সেটির দেওয়ালে হিন্দু সংস্কৃতি এবং সংস্কৃত স্লোকের উল্লেখ রয়েছে। সেগুলি এক হাজার বছরের পুরনো বলে দাবি। অন্যদিকে, এএসআইয়ের নথিপত্র অনযায়ী বহু বছর আগে সেখানে আড়াই দিনের জন্য উরস উৎসব বা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মেলা বসত। ঐতিহাসিক হরিবিলাস শারদাও উরস উৎসবের পক্ষে মত দিয়েছেন। তাঁর কথায় পাঞ্জাব থেকে আসা ধর্মগুরু পাঞ্জাবা শাহের নামে সেখানে উৎসব পালিত হত।
রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার বিজেপির বাসুদেব দেবনানী আজমির উত্তর বিধানসভার বিধায়ক। তিনিও কয়েক মাস আগে ‘আড়াই দিন কা ঝাঁপড়া’ মসজিদকে মন্দির এবং সংস্কৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলে দাবি করেন। প্রচারে নেমেছে বিশ্বহিন্দু পরিষদও। শহরের ডেপুটি মেয়র হঠাৎ করেই আজমির শরিফ দরগা থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথে থাকা মসজিদটি নিয়ে সরব হওয়ায় অনেকেই মনে করছে এই প্রাচীন নির্মাণটি নিয়েও আদালতে মামলা-মোকদ্দমা শুরু হতে পারে।