শেষ আপডেট: 6th February 2025 22:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কান্নায় গলা বুজে এল। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়লেন শেখ হাসিনা। খানিক নীরব থেকে বললেন, আমি দেশবাসীর কাছে বিচার চাই। আপনারাই বিচার করুন। হাসিনা বলেন, আমি কী অপরাধ করেছি। কেন দেশে আমার মা-বোনেরা স্বামী হানা হচ্ছে। কেন নারীদের উপর নির্যাতন চলছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় আওয়ামী লিগের অনলাইন অনুষ্ঠান ‘দায়মুক্তি’-তে যোগ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ একদিন ঠিক বিচার করবেন। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। আওয়ামী লিগ নেত্রী বলেন, আমি দেশের জন্য কী না করেছি। এই ভাবে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধ্বংস করা হচ্ছে কেন? তিনি তো নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন এই দেশের জন্য। এই দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করার এই কি পুরস্কার? হাসিনা বলেন, কী অপরাধ করেছি আমি? এই দেশ কী ছিল আর কী হয়েছে। কোন কাজটা আমি বাকি রেখেছি। হাসিনা হলেন, ধানমুন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি একটি ঐতিহাসিক স্মারক। ওই বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই বাড়িতেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই মানুষটির বাড়িতে কেন আগুন দেওয়া হল? কেন ভেঙে ফেলা হল?
একপর একে একে আওয়ামী লিগের আক্রান্ত নেতা-কর্মীদের কথা শোনা শুরু করেন হাসিনা। ঢাকার যাত্রবাড়ির এক মহিলা হাসিনাকে আপা সম্মোধন করে জানান, গত বছর কীভাবে তাঁর স্বামীকে প্রকাশ্য রাস্তায় খুন করা হয়। দুই সন্তানের মা ওই মহিলা বলেন, তাঁর স্বামী বারে বারে মার্জনা চাইলেও দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি।
মাগুরার আওয়ামী লিগের এক নেত্রী হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ বলে সম্মোধন করে জানান, কীভাবে ৫ অগাস্ট বিকালেই তাঁকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। ১৪ অগাস্ট চাকরি যায় তাঁর স্বামীর। হাসিনাকে তিনি জানান, আওয়ামী লিগকে সমর্থন করেন বলেই তাঁর উপর নিপীড়ন, নির্যাতন চলছে। মিথ্যা মামলায় তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। মহিলা জানান, তাঁর বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি জয়বাংলা-র পক্ষে লেখালেখি করেন। এই কারণেই তাঁকে ‘দেশদ্রোহী’ বলে গানমন্দ করা হয়।