শেষ আপডেট: 20th August 2024 21:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক খুনের মামলা দায়ের হয়েই চলেছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এক ডজনের বেশি মামলা দায়ের হয়েছে। তারমধ্যে একটি অপহরণের মামলা। বাকিগুলিতে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
নতুন করে দায়ের হওয়া তিনটি মামলার একটিতে হাসিনার সঙ্গে আসামী করা হয়েছে তাঁর বোন রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে। গত ৫ অগাস্ট হাসিনা বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে দেশ ছাড়েন। তাঁরা ভারতের আশ্রয়ে আছেন।
মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও ভারতে আছেন। তিনি ৫ আগস্টের আগে থেকেই দিল্লিতে ছিলেন। তবে তিনি পালিয়ে আসেননি। পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রধান। তাঁর অফিস দিল্লিতে। দিল্লিতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলোয় থাকেন তিনি। জয় থাকেন আমেরিকায়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকায় পুলিশের গুলিতে তিনজন খুন হয়েছিলেন। তাঁদের একজন ফল বিক্রেতা ফরিদ শেখ। তাঁর বাবা সুলতান শেখ ছেলেকে হত্যায় হাসিনা ও তাঁর বোন এবং ছেলে মেয়ে-সহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বাকিদের মধ্যে আছেন, আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াবদুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মামুদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এঁদের মধ্যে ওবায়দুল কাদের বাদে বাকিরা পুলিশের হেফাজতে আছেন। সাবের পররাষ্ট্র, তথা শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকেও ভিন্ন এক মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধেও খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।
যাত্রাবাড়ির যে খুনের ঘটনায় হাসিনার ছেলে মেয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে, ঘটনার সময় তাঁরা দেশের বাইরে ছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের বক্তব্য বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরামর্শ মেনেই নিহতদের পরিবার ও আহতরা মামলা সাজাচ্ছেন। হাসিনার পাশাপাশি তাঁর বোন এবং ছেলেমেয়েদের বিচারের জন্য দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশে মামলায় তাঁদের নাম যুক্ত করা হয়েছে।