শেষ আপডেট: 28th October 2024 15:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আওয়ামী লিগের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য ঢাকা হাই কোর্টে মামলা করলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। মামলাটি গ্রহণ করেছে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাপের মুখেই গত ৫ অগাস্ট দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।
হাসনাত আবদুল্লাহ পরে ফেসবুকে লিখেছেন, মামলায় আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়নি। শেখ হাসিনার সময়ে জাতীয় সংসদের যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে সেগুলি বাতিল ঘোষণা করার দাবি পেশ করা হয়েছে। এছাড়া ওই তিন নির্বাচনে জয়ী সাংসদেরা যে সব সুবিধা পেয়েছে সেগুলি প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি পেশ করা হয়েছে মামলায়।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেছেন, তিনি এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লিগের কর্মসূচি বন্ধ রাখার আদেশ প্রদানের আর্জি জানানো হয়েছে মামলায়।
হাসিনা দেশ ছাড়ার পর আওয়ামী লিগের ছন্নছাড়া অবস্থা। দলের প্রথমসারির নেতাদের অনেকেই বিদেশে। দেশে থাকা কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক জেলে। রাজনৈতিক কর্মসূচি বলতে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ কয়েকটি জায়গায় ছোট মিছিল করছে। দলের অস্তিত্ব কার্যত ফেসবুকে সীমাবদ্ধ। তারপরও আওয়ামী লিগের রাজনৈতিক কর্মসূচি বাতিলের আর্জি নিয়ে মামলা হওয়ায় রাজনৈতিক মহল বিস্মিত। কারও কারও মতে, এত মরার উপর খাঁড়ার ঘা।
আওয়ামী লিগ নেতৃত্বের দাবি, মহম্মদ ইউনুসের সরকার এবং বিপ্লবী ছাত্ররা জনক্ষোভের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন। দেশে জিনিসপত্রের দাম মাত্রাছাড়া, একশো টাকার নিচে কোনও সবজি নেই। তার উপর চুরি, ছিনতাই, রাহাজানির ঘটনা চরমে উঠেছে। হাজার হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়ে ভিক্ষার পাশাপাশি চুরি, ছিনতাইয়ের কাজ বেছে নিয়েছে। গণ অভ্যুত্থানের কাঁধে চড়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের বিরুদ্ধে জনক্ষোভ আছড়ে পড়ার মুখে।
সরকার ও বিপ্লবী ছাত্ররা তাই ভয় পাচ্ছে। তারা মনে করছে, মানুষ পথে নামলে আওয়ামী লিগও সদলবলে সক্রিয় হয়ে উঠবে। তাই দৃশ্যত মরার উপর খাঁড়ার দেওয়ার চেষ্টা।