শেষ আপডেট: 13th November 2024 13:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৫ অগাস্ট থেকে ১৩ নভেম্বর। বুধবার একশো দিন হয়ে গেল ভারতে আছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কেমন আছেন আওয়ামী লিগ সভাপতি? ভারত সরকারের একাধিক সূত্র জানাচ্ছে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন পড়শি দেশের ভিভিআইপি অতিথি। দিল্লির অল মেডিক্যাল সায়েন্সের চিকিৎসকেরা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
৫ অগাস্ট দিল্লির অদূরে হিন্ডন বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমান হাসিনাকে নামিয়ে দিয়ে গিয়েছিল। সেটি ভারতীয় বায়ু সেনার বিমানবন্দর। সেখানে সামরিক বাহিনীর অতিথিশালায় রাখা হয়েছিল হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানাকে। ক'দিন পর তাঁদের দিল্লিতে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে খবর।
দিল্লিতে ভারত সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের জন্য বরাদ্দ একটি বিশাল বাংলোয় রাখা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। ধর্মীয় আচার পালনে তিনি কঠোর নিয়মবিধি মেনে চলেন। তারজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা আছে বাংলোটিতে। আগের মতোই ভোর ভোর ঘুম থেকে উঠে প্রার্থনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক পদস্থ আধিকারিকের কথায় বাংলোটি দেখে অবশ্য কেউ বুঝতে পারবে না সেখানে একজন বিদেশি ভিভিআইপি অতিথি রয়েছেন। সর্বক্ষণ বাড়িটি সাদা পোশাকের কমান্ডোরা ঘিরে রাখে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না মানে এটা নয় তিনি বন্দি দশায় দিন কাটাচ্ছেন। নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসস্থান নিয়ে চূড়ান্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু দিল্লিতে নিয়মিত পরিচিতদের সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন তিনি। তবে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা কারও সঙ্গে মুখোমুখি দূরে থাক ফোনেও কথা বলছেন না হাসিনা। ভারত সরকারেরর তরফে যদিও কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। প্রটোকল মেনে যাবতীয় সুযোগ সুবিধা বরাদ্দ হয়েছে। নিরাপত্তা তুলনায় অনেক বেশি বরাদ্দ হয়েছে।
বাংলাদেশের এই হাই প্রোফাইল অতিথিকে নিয়ে কী পরিকল্পনা ভারত সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সূত্র বলছে হাসিনা কতদিন ভারতে থাকবেন সেটা সম্পূর্ণভাবে তাঁর সিদ্ধান্ত। হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ভারতে কোনও রাজনৈতিক মত বিরোধ নেই।প্রথমসারির সব দল সরকারের পাশে আছে। একাধিক সূত্র বলছে, আপাতত ভারতে বসেই দল গোছানোর কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি।
ইন্টারপোল বা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফেরত চাইলে কী করবে ভারত সরকার? কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল ইন্টারপোল নিয়ে ইউনুস জসরকারের পদক্ষেপকে আমল দিচ্ছে না। ইউনুস প্রশাসন ইন্টারপোলকে হাসিনার নামে রেড কর্নার নোটিস জারির জন্য চিঠি দিয়েছে। সরকারি সূত্র বলছে, হাসিনার নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে আপস করে ইন্টারপোল কিংবা বাংলাদেশ সরকার, কোনও পক্ষের কাছেই অতিথিকে তুলে দেবে না ভারত।