শেষ আপডেট: 29th August 2024 21:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঘটনাটি আট বছর আগের। বৃহস্পতিবার সেই ঘটনা নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তোলাবাজির মামলা দায়ের হল বাংলাদেশে।
চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা তথা ব্যবসায়ী মামুন আলি আদালতে অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ১৫ অগাস্ট তিনি নিজের বাড়িতে দলনেত্রী খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন করছিলেন। স্থানীয় মানুষকে খাওয়ার নিমন্ত্রণ করেছিলেন। সেই অনুষ্ঠান পুলিশ ভণ্ডুল করে দেয় এবং তাঁর সঙ্গে থাকা নগদ সাত লাখ টাকা পুলিশ ছিনিয়ে নেয়। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, সেই টাকা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ভাগাভাগি করে নিয়েছে। মামলায় ওই ব্যবসায়ী মোট ৪২৫ জনের নাম উল্লেখ করেছেন আসামী হিসাবে। তাদের আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মামুদ-সহ আওয়ামী লিগের মাঠ পর্যায়ের নেতারা আছেন।
খালেদা জিয়া একটা সময় ১৫ অগাস্ট নিজের জন্মদিন পালন করতেন। যদিও কোনও সরকারি নথিতে তাঁর ওই দিন জন্মের উল্লেখ নেই। এমনকী সরকারিভাবেও তাঁর তিনটি জন্মদিনের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন তিনি ১৫ অগাস্টকে জন্মদিন পালন করতেন।
অন্যদিকে, ওই দিনটি আওয়ামী লিগ ও শেখ হাসিনা সরকার জাতীয় শোক দিবস পালন করত। কারণ ১৯৭৫-এর ওই দিনে ঢাকার ৩২ নম্বর ধানমণ্ডির বাড়িতে সপরিবারে নিহত হন দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। আওয়ামী লিগের অভিযোগ জাতির পিতাকে অসম্মান করতেই খালেদা জিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ১৫ অগাস্ট জন্মদিন পালন করতেন।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালতে ব্যবসায়ী তথা বিএনপি নেতা মামুন আলি অভিযোগ করেন, আট বছর আগের ওই অনুষ্ঠানে স্থানীয় হালিশহর থানার ওসি প্রণব চৌধুরী এসে সব আয়োজন ভণ্ডুল করে তাঁকে মারধর করেন। তারপর ভিডিও কলে শেখ হাসিনা ও রেহানাকে সেই দৃশ্য দেখান।
বৃহস্পতিবার ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দীন মামলাটি পিবিআই অর্থাৎ পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের কাছে অনুসন্ধানের জন্য পাঠাতে নির্দেশ দিলে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। পরিস্থিতির চাপে ম্যাজিস্ট্রেট এজলাশ ছেড়ে নিজের কক্ষে চলে যান। সেখানে গিয়েও বিএনপি সমর্থকেরা চাপ দেন মামলা হালিশহর থানায় এজাহারের জন্য পাঠাতে হবে এবং নির্দেশ দিতে হবে অবিলম্বে তদন্ত শুরু করার। চাপের মুখে ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দীন সেই নির্দেশ দিয়ে রেহাই পান।