শেষ আপডেট: 7th January 2025 17:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশের জন্মের পর গত নভেম্বরে প্রথম পাকিস্তানের কোনও জাহাজ সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পৌঁছে দিয়েছে। পাকিস্তানের পণ্য খালাসের আগে বন্দরে বাধ্যতামূলক তল্লাশির নির্দেশও প্রত্যাহার করে নেয় মহম্মদ ইউনুসের সরকার। পাকিস্তান থেকে অস্ত্র চোরাচালান আটকাতে বিশেষ তল্লাশির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সাবেক শেখ হাসিনা সরকার।
পাকিস্তানের পণ্যের ক্ষেত্রে তল্লাশির শর্ত শিথিলের পাশাপাশি ভারতের ক্ষেত্রে তা আরও কঠোর করা হয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি-আমদানি করা হয় বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে। ওই একই বন্দরের বাংলাদেশ প্রান্তের নাম বেনাপোল। সেখানকার বন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের পণ্যের চালান কিংবা ২০ হাজার পিসের বেশি তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ প্যাকেট খুলে চালানের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে।
ভারত থেকে রপ্তানি হওয়া কুড়ি ধরনের পণ্যকে এই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে আছে সব ধরনের প্রসাধনসামগ্রী, কাপড়, ব্যাটারি, মোটর পার্টস, ইমিটেশন জুয়েলারি, ব্যাটারি, নতুন ও পুরোনো মোটর পার্টস, টায়ার, টিউব, সাইকেল যন্ত্রাংশ ও অস্ত্রোপচারের সামগ্রী। সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নিতে। বাংলাদেশ সরকার মনে করছে ভারতীয় কোম্পানিগুলি পারমিটের অতিরিক্ত পণ্য পাঠিয়েছে কর ফাঁকি দিতে পারে।
যদিও ওয়াকিবহাল মহলে বক্তব্য ইউনুস সরকার আসলে ভারত থেকে যাওয়া পণ্যের মাধ্যমে অস্ত্র অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছে। সেই কারণে বিপুল পরিমাণে আমদানি করা পণ্যগুলির ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির জেরেই রপ্তানিতে এই বিধিনিষেধ বলে মনে করা হচ্ছে।