শেষ আপডেট: 6th December 2024 17:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট শিগগিরই চালু হতে পারে। এই দাবি জানিয়েছেন, করাচিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এস এম মাহবুবুল আলম। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সরাসরি ফ্লাইট চালুর ফলে দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক হবে।
শুক্রবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, হায়দ্রাবাদ চেম্বার অব স্মল ট্রেডার্স অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রির (এইচসিএসটিএসআই) একটি অনুষ্ঠানে মাহবুবুল আলম এ কথা বলেছেন। সেখানে তিনি আরও বলেন, সরাসরি ফ্লাইট চালু হওয়া বাণিজ্যিক আদানপ্রদানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ, যা উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রবাহ বৃদ্ধি করবে।
পাকিস্তান ও বাংলাদেশ, দুই দেশই ইতিমধ্যেই বহুজাতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তবে এখনও দু’দেশের মধ্যে ডাইরেক্ট ফ্লাইট নেই। সেদিক থেকে এটা বড় ঘটনা হতে চলেছে বৈকি। তবে কূটনৈতিক অনেকের মতে, এই ডেভেলপমেন্ট ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দিক থেকে বিপজ্জনক হতে পারে। পরিবর্তিত ভূ রাজনৈতিক পরিবেশে ঢাকা ও ইসলামাবাদের এত মাখামাখির উপরেও নজর রাখছে নয়াদিল্লি।
মাহবুবুল আলম আরও জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় বার্ষিক বাণিজ্য প্রদর্শনীতে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ওই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করা হবে, যাতে তারা কোনো ঝামেলা ছাড়াই ঢাকায় পৌঁছতে পারেন।
ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ রাষ্ট্রদূতের কথায়, বাংলাদেশ বর্তমানে ৮০টি দেশে পণ্য রপ্তানি করে এবং বিপুল পরিমাণ ডলার আয় করছে। তবে, তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আরও দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুললে দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা ও বৈশ্বিক বাণিজ্যে অংশগ্রহণ আরও শক্তিশালী হবে।
এছাড়া, বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার হায়দ্রাবাদ চেম্বার অব স্মল ট্রেডার্স অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় হায়দ্রাবাদে এক প্রদর্শনীর আয়োজন করার কথাও জানিয়েছেন, যেখানে দুই দেশের আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা একত্রিত হয়ে তাদের পণ্য এবং ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা উপস্থাপন করতে পারবেন।
আবার এইচসিএসটিএসআই-এর সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম মেমন বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্কের মূল ভিত্তি হল অভিন্ন ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং বাণিজ্য। গত ১১ নভেম্বর প্রথমবার পাকিস্তান থেকে সরাসরি কার্গো জাহাজ বাংলাদেশে পৌঁছয়। তা ছিল একটি বড় মাইলফলক। এই পদক্ষেপ দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কের আরও বিকাশে সহায়ক হবে।