শেষ আপডেট: 7th December 2024 18:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামী সোমবার একদিনের সফরে ঢাকা যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। তার আগে সে দেশের সরকার সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন, নির্যাতনের অভিযোগগুলি নসাৎ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই ব্যাপারে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক পরিষদের প্রতিবেদনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ পোস্টে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার সাবেক ঢাকা সংবাদদাতা শফিকুল আলম দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক পরিষদের প্রতিবেদনকে বিশ্বাসযোগ্য ধরে নিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যও একতরফা প্রচার করেছে। তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে বাংলাদেশে গিয়ে অভিযোগের তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নয়াদিল্লির কূটনৈতিক মহলের খবর, ঢাকা সফরে বিদেশ সচিব সে দেশে সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনাগুলি নিয়ে সরব হবেন। তার আগে ঢাকা পাল্টা চালে দাবি করে রাখল, যে রিপোর্টের ভিত্তিতে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের কথা বলা হচ্ছে সেগুলিরই কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বাংলাদেশের একটি নামী মানবাধিকার সংগঠন আসক বা আইন ও শালিসি কেন্দ্রের রিপোর্ট উল্লেখ করে বলেছেন তাদের সঙ্গে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক পরিষদের রিপোর্টের কোনও মিল নেই। কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্মীয় কারণে কোনও সংখ্যালঘুর জীবনহানি হয়নি। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়িয়ে বলা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার এই পোস্টের পর জল্পনা শুরু হয়েছে, বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার অভিযোগে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক পরিষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে ইউনুস সরকার। এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনাগুলিকে ভারতীয় মিডিয়ায় অতিরঞ্জিত প্রচার বলে অভিহিত করেন।