শেষ আপডেট: 13th March 2025 16:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চিকিৎসকদের সব চেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হল। বাঁচানো গেল না বাংলাদেশের (Bangladesh) সেই শিশু কন্যাটিকে (minor girl)। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার (Dhaka) সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (combined medial hospital) চিকিৎসাধীন শিশুটি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে। গত ৮ মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন ছিল সে। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বুধবার চোখের পাতা খুলেছিল। আশাবাসী হয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। বৃহস্পতিবার সকালে পর পর তিনবার হার্ট অ্যাটাক হয়। দু’বার সামাল দেওয়া গেলেও তৃতীয়বার যায়নি।
শিশুটির মৃত্যুর খবরে বাংলাদেশের মানুষ শোকাহত। গত পাঁচদিন ধরে মানুষ প্রতি মুহূর্তে শিশুটির সুস্থতা কামনা করেছে। উত্তাল হয়েছে সমাজমাধ্যম। জনসাধারণের দাবি মেনে শিশুটির শারীরিক অবস্থা নিয়ে ঘণ্টায় ঘণ্টায় মেডিক্যাল বুলেটিন প্রচার করেছে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল।
শিশুটির চিকিৎসায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ হাই কোর্ট (Bangladesh High court)। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া শিশুটির ছবি সরানোর নির্দেশ দেয় আদালত। চিকিৎসায় যাতে ফাঁক না থাকে সে দিকে চিকিৎসকদের সতর্ক থাকতে বলে আদালত। দিল্লিতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) মাগুরা-সহ বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনায় বারে বারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দলের অনলাইন ভাষণে তিনি ইউনুস সরকারের (Yunus government) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, ধর্ষক, চোর, ডাকারদের না ধরে পুলিশ আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করার ফল ভুগছে দেশ। ধর্ষকেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটির বুকে বাতাস জমে গিয়েছিল। বুক ফুটো করে সেই বাতাস বের করা হয়। একটা পর্যায়ে গিয়ে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়।
সাত বছর বয়সি শিশুটিকে ধর্ষণ (rape) করা হয়েছিল। ঘটনাটি বাংলাদেশের দক্ষিণপ্রান্তের শহর মাগুরার। পুলিশ জানায়, শিশু কন্যাটি তাঁর দিদির বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানে তাঁকে দিদির শ্বশুর ধর্ষণ করে।
ওই ঘটনা জানাজানি হতে গোটা বাংলাদেশ পথে নামে। পরিস্থিতি শান্ত করতে বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করে ধর্ষণ, গণ ধর্ষণের ঘটনায় পনেরো দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ৯০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করা হবে।
ওই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতি এবং অপরাধীদের আড়াল করার অভিযোগে প্রথমে মাগুরা শহরে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়। পরে তা ঢাকা-সহ বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদের জেরে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ধৃতদের নিরাপদে আদালতে তোলা যায়নি। প্রতিবাদকারীরা আদালত চত্ত্বর ঘিরে রেখে অভিযুক্তদের তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকে। মাঝরাতে ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।