শেষ আপডেট: 5th August 2024 08:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে শুধুই লাশ! অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ চলছে পড়শি দেশের বিভিন্ন জায়গায়। রবিবার থেকে আওয়ামি লিগ, ছাত্রলিগের নেতাকর্মীদের উপরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৪ জন পুলিশ সহ ৯৮ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় সন্ত্রাসী হামলায় পুলিশের ১৩ জন সদস্য এবং কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে আরও একটি হামলায় হাইওয়ে থানার এক পুলিশ কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্ফু জারি হয়েছে।
সময় যত বাড়ছে ততই ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে অসহযোগ আন্দোলন। রবিবার থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, পাবনা, সিলেট, ফেণী, বগুড়া, বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ সহ একাধিক এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারকে সমর্থনকারী আওয়ামি লিগ ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। সেদেশের অন্তত ৫০টি জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দিনভর লাঠিসোঁটা সহ পিস্তল, বন্দুকের মতো আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাস্তায় সংঘর্ষের ছবি ধরা ধরেছে। আহত হয়েছে কয়েকশো মানুষ।
আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরকারি নেতা-মন্ত্রীদের বাসভবনে হামলা ও আগুন লাগিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। আবার পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট ছুঁড়েছে, এমন অভিযোগও সামনে এসেছে। শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে রবিবার রাজধানী ঢাকা সারা দেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। বন্ধ ছিল দূরপাল্লার বাস, ট্রেন সহ অন্যান্য গণপরিবহনও।
শনিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেন ছাত্র নেতারা। রবিবার আন্দোলনের মাত্রা তীব্রতা মাত্রা ছাড়ায়। পুলিশ, আধা সেনা ছাড়াও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে আওয়ামী লিগ সমর্থকদেরও। মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে ঢাকা সহ ১৪টি জেলায়। গুজব আটকাতে ফেসবুক ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও চালু আছে।
রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত বাংলাদেশের কোথাও কোথাও সংঘর্ষ চলে। দফায় দফায় দেশজুড়ে সংঘর্ষে সোমবার এই প্রতিবেদন লেখার সময় অর্থাৎ সকাল ৮টা পর্যন্ত ৯৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, লাফিয়ে বাড়ছে সেই সংখ্যা। আগের দফায় আন্দোলনে সরকারিভাবে দেড়শো জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে সরকার। যদিও বেসরকারি মতে, মারা গিয়েছেন দু’শোর বেশি মানুষ।