শেষ আপডেট: 8th August 2024 17:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশ ছাড়ার পর লাগামছাড়া হিংসা বেড়েছে বাংলাদেশে। সোমবারের পর তিনদিন কেটে গেলেও কোনও ভাবে অশান্তির ঘটনা কমেনি। উল্টে গত ২ দিনে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০০! অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে যাকে সামনে রাখা হয়েছে সেই মহম্মদ ইউনুস নিজেও শান্তির বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। কবে থামবে এই হিংসা, সেই প্রশ্নই এখন সকলের মনে।
বাংলাদেশের প্রথম সারির এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৩ দিনে দেশে ৫৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে গত তিনদিনেই নিহত হয়েছেন ২৩২ জন! ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন শহর এবং গ্রাম থেকে পরপর অশান্তি খবর আসছে। কোথাও আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙা হয়েছে, কোথাও সেই দলের নেতা, কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। ভাঙচুরের পাশাপাশি প্রায় সব জায়গাতেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও পুড়ে মৃত্যু হয়েছে অনেকের।
আওয়ামী লীগের সদস্যদের ওপর হামলার পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের ওপরও লাগাতার হামলা হচ্ছে। এই সময়টা কার্যত পুলিশ শূন্য হয়ে গেছে ঢাকা। ঢাকা ছাড়াও অন্য একাধিক থানাতেও পুলিশ নেই বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের জরুরি পরিষেবাও। পুলিশের জরুরি পরিষেবার নম্বরে ফোন করেও কেউ কোনও সাহায্য পাচ্ছেন না বলে খবর। আসলে পুলিশরা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁদের একটি সংগঠন আবার নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতিরও ডাক দিয়েছে।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশে এসে গেছেন নোবেলজয়ী ডঃ মুহম্মদ ইউনুস। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নিতে পারে। এদিন ইউনুসকে স্বাগত জানান, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, তিন বাহিনীর প্রধান, কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
দেশের চলতি পরিস্থিতি নিয়ে ইউনুস বলেন, ''আমার ওপর আপনারা আস্থা রাখেন। কারও ওপর হামলা হবে না। নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটি করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা (সমন্বয়কেরা) দেশকে রক্ষা করেছে। দেশকে পুনর্জন্ম দিয়েছে।'' এই সময় তাঁর পাশে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দেখা যায়। বক্তব্য শুরুর আগে তাঁরা ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।