শেষ আপডেট: 14th January 2025 10:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামী জুনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বিএনপি। সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই দাবিতে পথে নামার সিদ্ধান্ত হয়েছে। লন্ডন থেকে অনলাইনে বৈঠকে যোগ দেন দলের কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। মঙ্গলবার ঢাকায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছে খালেদা জিয়ার দল। সেখানে দলের অবস্থান স্পষ্ট করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির এই অবস্থান ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে সংঘাতে নামার পদক্ষেপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইু্উনুস সরকারের সঙ্গে এই মুহূর্তে জনভিত্তির নিরিখে প্রধান দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি। নির্বাচন নিয়ে তাদের এই অবস্থান ঘিরে বাংলাদেশের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল।
ইউনুস ইতিমধ্যে নির্বাচনের দুটি সময় ঘোষণা করেছেন। তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলি স্বল্প সংস্কার চাইলে ভোট হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। আর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার শেষে ভোট প্রত্যাশা করলে নির্বাচন হবে আগামী বছরের জুনে। কিন্তু বিএনপি চলতি বছরের জুনে অর্থাৎ আগামী ছয়মাসের মধ্যে ভোট চায়।
ভোট নিয়ে বিএনপির কেন তর সইছে না? খালেদা জিয়ার দল মনে করছে, যত তাড়াতাড়ি ভোট হবে তত তাদের জয় সহজ হবে। তারা সরকার গড়তে পারবে। একক শক্তিতেই সরকার গড়তে পারবে তারা।
অন্যদিকে, ভোট যত দেরি হবে তত ভাল ফলের সম্ভাবনা বিলীন হবে। তার সম্ভাব্য কারণ, আওয়ামী লিগের অনুপস্থিতিতে বিএনপির নীচুতলার নেতা কর্মীরা লুঠতরাজ, চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট ব্যবসায় জড়িয়ে দলের বিস্তর বদনাম করে ফেলেছে। অনেকেই বলছে, এই দল ক্ষমতায় এলে আর একটা আওয়ামী লিগ হয়ে যাবে। তাহলে হাসিনাকে তাড়িয়ে লাভ কী হল!
দ্বিতীয়ত, বিএনপি মনে করছে আওয়ামী লিগ ঘুরে দাঁড়ানোর আগে ভোট হলে তারা নিশ্চিন্তে ক্ষতায় ফিরতে পারবে। হাসিনার দল ময়দানে ফিরলে আসলে তারাই হবে মূল প্রতিপক্ষ।
তৃতীয়ত, বিএনপি নেতৃত্ব মনে করছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বের সম্ভাব্য নতুন দল নিজেদের গুছিয়ে ওঠার আগে ভোট করে নিতে।।ছাত্রদের দলের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামির জোট হওয়ার কথা। এতকাল ভোটে জামাত ভাল ফল করতে পারেনি। তারা মনে করছে, ছাত্রদের নতুন দলের সঙ্গে জোট করে বিএনপিকে ভোটের বাক্সে পরাজিত করা সম্ভব।