শেষ আপডেট: 7th February 2025 13:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি ভাঙার ঘটনার নিন্দা করল না বিএনপি। শুধু ধানমন্ডির ওই বাড়িটিই নয়, বুধ ও বৃহস্পতিবার, দু'দিন ধরে সারা বাংলাদেশ জুড়ে চলেছে মুজিবের স্মৃতি মুছে ফেলার অভিযান। সেই সঙ্গে চলে শেখ হাসিনা-সহ আওয়ামী লিগ নেতাদের বাড়ি, অফিসে হামলা। আওয়ামী লিগ সুত্রে দাবি করা হয়েছে দলের প্রথমসারির জনা তিরিশ নেতার বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর হয়েছে। বাদ যায়নি দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাাড়িও।
দু'দিন ধরে চলা হামলাবাজির ঘটনা নিয়ে বিএনপি টুঁ শব্দটি করেনি। অবাক করা বিষয় হল, তাণ্ডব নিয়ে দেশের অন্যতম দলটি বিবৃতি দিয়েছে ভোর রাতে। দলের প্রবীণ নেতা রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বিএনপি বলেছে, পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার আওয়ামী লিগ ও তাদের দোসররা জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে 'অশালীন এবং আপত্তিকর বক্তব্য' দিচ্ছে বলেই দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং ক্রোধের জন্ম দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মুজিবের বাড়িসহ বাংলাদেশে আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় ইউনুস সরকারও সাবেক শাসক দলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে। সরকার বিশেষভাবে দায়ী করেছে শেখ হাসিনাকে। বিএনপি কার্যত সরকারের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে।
হাসিনার নাম না নিয়ে বিএনপির বক্তব্য, স্বৈরাচারের উসকানিমূলক বক্তব্যের ফলশ্রুতিতে বুধবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি, স্থাপনা ও নামফলকসমূহ ভেঙ্গে ফেলার মতো জনস্পৃহা দৃশ্যমান হয়েছে।
বিএনপি বলেছে, গণঅভ্যুত্থানে নিহত পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা করা, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসন, পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের বিচার নিশ্চিত করা, সেই সঙ্গে তাদের উসকানিমূলক তৎপরতা রোধ করাটা সরকারের অগ্রাধিকার হওয়ার কথা। কিন্তু এসব বিষয়ে সরকারের দৃশ্যমান এবং উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি নেই।