শেষ আপডেট: 12th February 2025 11:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটাই মোদীর প্রথম আমেরিকা সফর। গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে আমন্ত্রণ জানান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে বাংলাদেশেও তুমুল কৌতূহল তৈরি হয়েছে। একদিকে, আওয়ামী লিগ আশা করছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের চলতি পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলবেন। অন্যদিকে, বিএনপি-সহ আওয়ামী লিগ বিরোধী দলগুলি এবং মহম্মদ ইউনুসের সরকারের আশঙ্কা মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশ নিয়ে পদক্ষেপ করতে পারেন।
সেই আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে, ঢাকায় মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেকি জ্যাকবসন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠকের পর। বাংলাদেশের একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, মার্কিন দূত যে বিষয়গুলি নিয়ে ইউনুসের কাছ থেকে স্পষ্ট জবাব দাবি করেন তারমধ্যে অন্যতম হল দেশে আইন-শৃঙ্খলার বেহাল পরিস্থিত, অপারেশন ডেভিল হান্টে মানবাধিকার হরণের অভিযোগ এবং পরবর্তী নির্বাচন। আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নেই ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুরের বাড়ি ভাঙার প্রসঙ্গ আসে। বাড়িটি ভাঙার সময় পুলিশ-সেনা হাত গুটিয়ে ছিল। বেশি রাতে ইউনুস সরকার ঘটনা নিয়ে মুখ খোলে। বিবৃতিতে ঘটনাটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলা হয়। ততক্ষণে দেশে-বিদেশে ওই ঘটনা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।
চলতি বছরের শেষে ডিসেম্বরে দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে বলে মহম্মদ ইউনুস ইতিপূর্বে একাধিকবার প্রকাশ্যে জানিয়েছেন। সেই কথাই মার্কিন দূত সরকারিভাবে প্রধান উপদেষ্টার মুখ থেকে শুনে গিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ হল, মার্কিন দূত সরকারিভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করার পরামর্শ দিয়েছেন। কূটনৈতিক মহল মনে করছে এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আওয়ামী লিগকে ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে বলেছেন।
লক্ষণীয়, মার্কিন দূতের সঙ্গে ইউনুসের বৈঠকের ঠিক আগে আওয়ামী লিগ অপারেশন ডেভিল হান্ট নিয়ে লম্বা বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দুষ্কৃতী দমনের নামে ইউনুস সরকার সাধারণ মানুষের জীবন অতীষ্ট করে তুলেছে।