সুইস ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখার প্রধান সুবিধা হল গোপনীয়তা রক্ষা। একটা সময় তারা দেশের নামও গোপন রাখত।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 20 June 2025 04:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত এক বছরে সুইস ব্যাঙ্কে (Swiss Bank) বাংলাদেশিদের (Bangladeshi) জমা অর্থের পরিমাণ ৩৩ গুণ বেড়েছে। ওই আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্ক তাদের কাছে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের গচ্ছিত অর্থের হিসাব প্রকাশ করেছে বাংলাদেশি সময় বৃহস্পতিবার রাতে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের শেষে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা রাখা টাকার অঙ্ক ছিল মাত্র ১ কোটি ৭৭ লাখ সুইস ফ্রাঁ। গত বছরের শেষে তা বেড়ে হয় ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার প্রায় ৮ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা। ২০২১ ও ২০২২ সালে জমা অঙ্কের পরিমাণ অনেক কম ছিল।
সুইস ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখার প্রধান সুবিধা হল গোপনীয়তা রক্ষা। একটা সময় তারা দেশের নামও গোপন রাখত। অর্থাৎ আমানতকারীরা কোন দেশের নাগরিক তাও জানাত না ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এখন দেশের নাম প্রকাশ করলেও আমানতকারীদের নাম-পরিচয় গোপন রাখে। স্বভাবতই বাংলাদেশের কারা বিপুল টাকা জমা রাখল সুইস ব্যাঙ্কে।
গত বছর ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে সরকার বদল হয়। শেখ হাসিনার সরকারের (Sheikh Hasina government) পতনের পর তিনি ছাড়াও আওয়ামী লিগের কয়েক শো নেতা-কর্মী দেশ ছাড়া। বাংলাদেশ সরকারের একাংশের বক্তব্য, আওয়ামী লিগের নেতারা বিশেষ করে ফেরার মন্ত্রী, সাংসদেরা নানা জায়গায় থাকা টাকা সুইস ব্যাঙ্কে জমা করেছে। যাতে সরকার তাঁদের অর্থ বাজেয়াপ্ত করতে না পারে।
অন্যদিক, আওয়ামী লিগ নেতাদের বক্তব্য, তথাকথিত জুলাই-অগাস্ট বিপ্লবের (July-August revolution) পর ক্ষমতায় আসা সরকার ও তাদের দোসরেরা রাতারাতি ফুলেফেঁপে কলাগাছ হয়ে গেছেন। তাঁরাই সুইস ব্যাঙ্কে টাকা রেখেছে।
টাকার মালিকানা যাদেরই হোক না কেন দেশের আর্থিক পরিস্থিতি যখন বেহাল তখন এত টাকা কীভাবে বিদেশে পাচার হল সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।