শেষ আপডেট: 21st July 2024 14:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে সরকারি চাকরির বিতর্কিত কোটা বাতিল করে দিল দেশের সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এমন রায় দিতে পারে জানাই ছিল। কারণ, এই ব্যাপারে হাই কোর্টের রায়ের বাতিল চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আভাস দিয়েছিলেন ছাত্রদের দাবির সঙ্গে সরকারের কোনও বিরোধ নেই।
পূর্ব ঘোষণা মতো রবিবার সকাল ১০’টায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু হয়। আপাতত রায়ের মূল অংশটুকুই জানা গিয়েছে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় বিস্তারিত তথ্য এখনও জানা যায়নি।
এখন প্রশ্ন হল, দেশের শীর্ষ আদালত কোটা বাতিলের পর চলমান আন্দোলন কি থামবে? আন্দোলনকারীরা আগেই জানিয়েছে, আইন-আদালত নয় তারা চান সরকারি সিদ্ধান্ত। সরকারকে আইন করে কোটা বাতিল করতে হবে। সংসদে সরকার বিল আনুক। প্রধানমন্ত্রী হাসিনা আগাম বলেছিলেন, আমার বিশ্বাস আদালতের রায় আন্দোলনকারীদের পক্ষে যাবে। এখন দেখার আন্দোলনকারীরা কী বলেন।
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারের এক দফা কথা হয়েছে। তবে আন্দোলনকারীদের অপর অংশ ওই আলোচনা নিয়ে সহমত নয়। আলোচনায় আট দফা দাবি পেশ করেন আন্দোলনকারীরা। তার অন্যতম হল, গুলিচালনা, অত্যাচারের সঙ্গে যুক্ত পুলিশ-প্রশাসনকে আগাম সাজা দিতে হবে। সরকার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করলেও আন্দোলনকারীদের তরফে আগাম শাস্তি দেওয়ার দাবি তোলায় পরিস্থিতি নতুন করে জটিল করে তুলেছে।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। তার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল ৩০ শতাংশ। সুপ্রিম কোর্ট আজ বলেছে, সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ পদে থাকবে কোটা মুক্ত। বাকি সাত শতাংশের মধ্যে পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, এক শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, এক শতাংশ বিশেষভাবে সক্ষম এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য। তবে সরকার চাইলে কোটা অদলবদল করতে পারবে, বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।