শেষ আপডেট: 12th September 2024 11:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে মসজিদে আজান ও নমাজ পাঠের সময় দুর্গাপুজোর মণ্ডপে ঢাক এবং মাইক-সহ বাদ্যযন্ত্র বাজানো বন্ধ রাখতে হবে। আজান শুরুর পাঁচ মিনিট আগে বাদ্যযন্ত্র বন্ধ করে দিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী বাংলাদেশ পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। প্রশাসনের দাবি, এই সিদ্ধান্ত নতুন নয়। বিগত সরকারগুলির সময়েও এই নির্দেশ বলবৎ ছিল।
যদিও এই সিদ্ধান্ত ঘিরে বাংলাদেশে হিন্দু সমাজের একাংশের মধ্য অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তাদের বক্তব্য, এই ব্যাপারেও আগের সরকারের সিদ্ধান্ত বদল করা হবে বলে তাঁরা আশা করেছিলেন। বৈঠকে ঢাকা মহানগর এবং বাংলাদেশ পুজো উদযাপন কমিটির কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক বৈঠকে জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী দাবি করেন, হিন্দু প্রতিনিধিরা সরকারের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। প্রশাসনের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অকারণে জলঘোলা করা হচ্ছে।
বৈঠকে আরও ঠিক হয়েছে, পুজো মণ্ডপে এবার স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হবে। তারা পালা করে মণ্ডপ পাহারা দেবে। বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মনে করছেন না।
তাঁদের আশঙ্কা, এই সুযোগে মাদ্রাসা ও জামাতের লোকজনকে পুজো মণ্ডপে মোতায়েনের চেষ্টা হচ্ছে, যারা মূর্তি পুজোয় বিশ্বাস করেন না। ফলে অশান্তির আশঙ্কা থাকছেই। এতদিন পুজো কমিটির লোকজনেরাই স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করতেন। সঙ্গে থাকত পুলিশ বা অন্য কোনও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাজানি হতে বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের অনেকেই স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। জানা গিয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের তরফে সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা দু’জনেই পেশায় সাংবাদিক। অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পুজো কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব এবং সাধারণ সম্পাদক তাপসচন্দ্র পাল।