শেষ আপডেট: 10th August 2024 14:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পদত্যাগ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আজ, শনিবার দুপুরে আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্র একথা জানিয়েছে। প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পদত্যাগ দাবিতে এদিন সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। পরে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। সেই আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন।
এদিকে, এদিনই ছাত্র-জনতা হত্যায় জড়িতদের বিচারসহ আইন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ৫ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হল, জুলাই-অগস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমন করার জন্য যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেগুলোর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে। গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনকে দমন করতে যেসব ফৌজদারি মামলা হয়েছে, সেগুলো আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রত্যাহার করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে যেসব শিশু-কিশোর মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় আটক রয়েছে, তাদের আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা। এছাড়াও সন্ত্রাস দমন আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার।
এদিন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জড়ো হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাঁরা প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের দুপুর ১টার মধ্যে পদত্যাগের চূড়ান্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা দুপুরের মধ্যে পদত্যাগ না করলে পরিণতি হবে শেখ হাসিনার মতো।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রধান বিচারপতিসহ দলবাজ বিচারপতিদের বাসভবন ঘেরাও করে পদত্যাগে বাধ্য করব। দলবাজ বিচারপতিদের সরিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের মূল উপড়ে ফেলা হবে। সকালেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে আদালত চত্বরে আসা শুরু করেন। তারপরই প্রধান বিচারপতি পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানালে তাঁরা চলে যান। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আইন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয় যে প্রধান বিচারপতি ইস্তফা দিয়েছেন।