শেষ আপডেট: 18th September 2024 08:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে সেনা বাহিনীকে ম্যাজেস্টেরিয়াল পাওয়ার দেওয়া হল। সে দেশের ফৌজদারি দণ্ডবিধির এই ক্ষমতাবলে পুলিশ ধরপাকড়, গ্রেফতার এবং প্রয়োজনে গুলি চালায়। মঙ্গলবার রাত থেকে সেনা বাহিনীও এই ক্ষমতা ভোগ করবে।
ঢাকায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত আগামী দু মাস বলবৎ থাকবে। সে দেশে গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সেনাবাহিনী ময়দানে আছে। তবে এতদিন তারা পুলিশকে সহায়তা করছিল। এবার সরাসরি পুলিশের ভূমিকা পালন করবে।
প্রশ্ন হল, সেনাবাহিনীকে কেন এই ক্ষমতা দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। কারণ, বাংলাদেশে সেনাকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদানের অভিজ্ঞতা ভাল হয়নি অতীতে। দেশবাসী তাই আতঙ্কিত। বিশেষ করে আওয়ামী লিগের নেতা কর্মীরা।
২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ফেরার কিছু দিন পর 'অপারেশন ক্লিন হান্ট' চালু করেছিলেন। সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। দুর্নীতি ও রাহাজানি দমনের নামে শুরু করা অভিযানে আওয়ামী লিগের হাজার হাজার নেতা কর্মীকে জেলে পাঠায় খালেদা জিয়ার সরকার। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে তারাও একই কৌশলে রাজনৈতিক দলগুলির কণ্ঠ রোধে নামে। এক পর্যায়ে হাসিনা ও খালেদা, দেশের দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকেও কারাগারে পাঠায় তত্বাবধায়ক সরকার।
মঙ্গলবার রাতে ইউনুস সরকার একইভাবে সেনাকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়ায় সবচেয়ে চিন্তিত আওয়ামী লিগের নেতা কর্মীরা। দিন কয়েক হল সাবেক শাসক দলের রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই সেনা দিয়ে শেখ হাসিনার দলকে কোণঠাসা করার কৌশল নিলেন ইউনুস। চিন্তায় আছে বিএনপি-ও। ওই দল অবিলম্বে দেশে নির্বাচন চেয়ে ময়দানে নেমেছে। অন্যদিকে, তত্বাবধায়ক সরকার এখনই ভোট করে ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ।