শেষ আপডেট: 9th November 2024 15:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বের আরও এক দাবি মেনে পদক্ষেপ করল মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। আগামীকাল রবিবার বাংলাদেশে শহিদ নূর হোসেন দিবসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ডাক দিয়ে সভা-সমাবেশ করার কথা ঘোষণা করেছে আওয়ামী লিগ। গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই প্রথম দলের তরফে প্রকাশ্য কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।
মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জানিয়েছেন, ‘আওয়ামী লিগ বর্তমানে একটি ফ্যাসিস্ট শক্তি। ফ্যাসিবাদী দলটিকে বাংলাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। গণহত্যাকারী, স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ কোথাও মিটিং-মিছিল করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার কোনও ধরনের সহিংসতা এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি লঙ্ঘনের চেষ্টা মেনে নেবে না।’
গতকাল শুক্রবারই ঢাকার পল্টন ময়দানে বিশাল জমায়েত করে বিএনপি। দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভায় ভাষণ দেন। বিএনপি এর আগেও ঢাকা এবং অন্য শহরে সভা করেছে। কিন্তু আওয়ামী লিগকে সভা করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে শনিবার জানিয়েছে ইউনুস সরকার। এর আগে আওয়ামী লিগের শরিক জাতীয় পার্টিকেও সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
আওয়ামী লিগ ১৯৯০ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ নভেম্বর শহিদ নূর হোসেন দিবস পালন করে আসছে। গত শতকের নয়ের দশকে সেনা শাসক হুসেইন মহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হন নূর হোসেন। তিনি পেশায় ছিলেন গাড়ি চালক।
এবার সেই দিনে গোটা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ স্তর পর্যন্ত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে আন্দোলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লিগ। ফেসবুকেই দল এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। সরকারি ঘোষণার পর দলের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আগেই আওয়ামী লিগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে। দলের সংগঠন ছাত্র লিগকে দু সপ্তাহ আগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইউনুস সরকার। আওয়ামী লিগকে এখনই নিষিদ্ধ করার পথে না হাঁটলেও ছাত্ররা দাবি ছিল যতদিন না পর্যন্ত হাসিনার দলের স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া যাবে না। আওয়ামী লিগের রবিবারের কর্মসূচিতে অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ইউনুস সরকার ছাত্রদের দাবিতেই সিলমোহর দিল বলা চলে।