শেষ আপডেট: 2nd October 2024 18:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর তাঁর সরকার ও দলের নানা কেলেঙ্কারি সামনে আসছে। তবে সবচেয়ে বেশি অনিয়মের ঘটনা জানা যাচ্ছে ব্যাঙ্ক-সহ একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। তাতে সর্বশেষ সংযোজন সমবায় ব্যাঙ্কের সোনা লোপাট।
বাংলাদেশ সমবায় ব্যাঙ্কের কাছে সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার সুযোগ আছে। খাঁটি সোনার ভরি পিছু ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। সুদের হার ১৮ শতাংশ। তদন্তে জানা গিয়েছে ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ৭৩৮৯ ভরি সোনা লোপাট করে দিয়েছেন। দু হাজার ৩১৬জন গ্রাহক ওই সোনা ব্যাঙ্কে জমা রেখেছিলেন।
সমবায় ব্যাঙ্ক বাংলাদেশের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধীনস্ত নয়। সরকারের সমবায় দফতর এই ব্যাঙ্ক চালায়। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন আহমেদ গা ঢাকা দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী ছাত্র সংগঠন ছাত্র লিগের সাবেক সভাপতি এবং ঢাকা আওয়ামী লিগের যুগ্ম সম্পাদক।
একটি খুনের মামলায় পুলিশের হেফাজতে আছেন শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি বিনিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ব্যাঙ্ক থেরে বেনামে ৩৯ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ আছে। এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে নিজেদের ব্যাঙ্কের এক লাখ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সমবায় ব্যাঙ্কের সোনা লোপাটের বিষয়ে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন শাখা তদন্ত শুরু করেও মাঝপথে থামিয়ে দেয়। তাদের দায়ের করা এজাহারে এক নম্বরে নাম ছিল চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদের। কিন্তু মাঝপথে তদন্ত থামিয়ে দেয় দুদক।
আরও আশ্চর্যের আদালতে জমা দেওয়া অন্তর্বর্তী তদন্ত রিপোর্ট থেকে ওই আওয়ামী লিগ নেতার নাম মুছে দেয় দুদক। তদন্তে জানা যাচ্ছে শুধু সোনা লোপাটই নয়, সমবায় ব্যাঙ্কে টাকার বিনিময়ে প্রায় দুশো জনকে চাকরি দিয়েও বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন ওই আওয়ামী নেতা।