বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কাছারিবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং দর্শনার্থী ও দায়িত্বরত কর্মচারীদের মারধরের তীব্র নিন্দা করেছে বাংলাদেশ ছাত্র লিগ।
শেষ আপডেট: 13 June 2025 12:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কাছারিবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং দর্শনার্থী ও দায়িত্বরত কর্মচারীদের মারধরের তীব্র নিন্দা করেছে বাংলাদেশ ছাত্র লিগ। পাকিস্তানি জামানায় রবীন্দ্র সঙ্গীত নিষিদ্ধকরণ ও রবীন্দ্র সাহিত্যকে বাঙালি-বাংলাদেশ থেকে চিরতরে মুছে ফেলার উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় এই হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে।
ছাত্র লিগ বলেছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির অস্তিত্বে মিশে থাকা একটি নাম। একারণে বছরের পর বছর ধরে রবীন্দ্রনাথের উপর নানারকম নিষেধাজ্ঞা জারি করে, রবীন্দ্রচর্চাকে সঙ্কুচিত করে বাঙালিকে অস্তিত্বশূণ্য সত্ত্বায় পরিণত করার চেষ্টা চালিয়েছে বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তি। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাঙালির জন্য একটি ভারসাম্যমূলক সমাজ-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে প্রয়াস তার বিপরীতে বৈষম্যমূলক, সাম্প্রদায়িক, বিভাজন-হানাহানির মাধ্যমে একটি ধর্মরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে তৎপরতা তারই অংশ হিসেবে বারবার রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্র সঙ্গীত ও রবীন্দ্র সাহিত্য আক্রমণের শিকার হয়ে চলেছে।
শহিদের রক্তস্নাত বাংলাদেশের পবিত্র মাটিতে দেশবিরোধী অপশক্তি, মৌলবাদী-জঙ্গিগোষ্ঠীর পতাকা উত্তোলনের দায়িত্ব নিয়ে হাজির হওয়া অবৈধ-অসাংবিধানিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান, ক্ষমতা-অর্থের মোহে অন্ধ ফ্যাসিস্ট-স্বৈরশাসক ইউনুস একে একে মুছে ফেলতে চায় লালন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল সবাইকে।
বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অস্বীকার, ধানমন্ডি-৩২ এর বাড়ি ভাঙা, জাতীয় সংগীত ও পতাকা পরিবর্তন, মাজার ভাঙা, নাটক-সিনেমা বন্ধ করে দেওয়া, পহেলা বৈশাখ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বাধা দেওয়া, নারীকে ঘরের বাহিরে বের হতে না দেওয়া ইত্যাদির ধারাবাহিকতায় রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে এই হামলা; যার চূড়ান্ত পরিণতি হবে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গিরাষ্ট্র বানানো।
ছাত্র লিগের আরও বক্তব্য, হত্যা-সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাষ্ট্র দখলকারী ইউনুসের এই তৎপরতা কোনদিনই বাংলার মাটিতে সফল হবে না। লালন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলকে মুছে ফেলার চেষ্টা করে অতীতে যারা ধ্বংস হয়ে গেছে, সেই পথেই ধ্বংস হতে হবে ইউনুস ও তার সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাহিনীকে। বাংলার মানুষ ইউনূস ও তাঁর সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাংকে চিরতরে উৎখাত করবে অচিরেই।