শেষ আপডেট: 26th September 2024 12:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে? অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসকে এই ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি তুলেছে সে দেশের সব রাজনৈতিক দল।
তবে উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি। তারা বলেছে, এই ব্যাপারে মতামত দিতে তাদের আরও সময় প্রয়োজন। যদিও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না দলটি। রাজনৈতিক দল হিসাবে কার্যকলাপ চালিয়ে গেলেও দলটির নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন বাতিল হয়ে গেছে।
ইউনুসের কাছে বিএনপি, আওয়ামী লিগ-সহ প্রথমসারির সব দল দাবি করেছে, নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করুর সরকার। সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান দেড় বছরের মধ্যে ভোট করা সম্ভব বলে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, আঠারো মাসের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করা সম্ভব। যে কোনও পরিস্থিতিতে ইউনুসের পাশে থাকার অঙ্গীকার করার পাশাপাশি সেনাপ্রধান নির্বাচনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন।
তারপরই প্রথমসারির দলগুলি দাবি তুলেছে নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব ভোটের রোড ম্যাপ প্রকাশ করা হোক। বিএনপির রুহুল কবীর রিজভি, গণসংহতি মঞ্চের প্রধান জুনায়েদ আহমেদ সাকি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক প্রমুখ সেনা প্রধানের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ভোটের দাবিতে মুখর হয়েছেন। আওয়ামী লিগের তরফে দলগতভাব কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে শেখ হাসিনার আমেরিকা প্রবাসী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সেনাপ্রধানের বক্তব্যে সায় দিয়ে বলেছেন, আওয়ামী লিগকে বাদ দিয়ে কোনও নির্বাচন সম্ভব নয়।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, ভোট নিয়ে উচ্চবাচ্য করছে না বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি। দলের তরফে সেক্রেটারি জেনারেল মিঞা গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা এই বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেব না। এই বিষয়ে দলে বিশদ আলোচনার পর প্রতিক্রিয়া জানাব।
জামাতের অবস্থান নিয়ে বাকি দলগুলি সন্দিহান। তারা মনে করছে, জামাতের মতামত ছাড়া ইউনুস ভোট নিয়ে পদক্ষেপ করবেন না। তিনি জামাতের স্বার্থ দেখবেন বলেও মনে করছে সব দল। জামাতের নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত আদালত থেকে প্রত্যাহারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদিও ভোটে অংশ নিলেও জামাতের ভাল ফল করার বাস্তব পরিস্থিতি এখনও নেই। কিন্তু বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা দল গড়ার যে পরিকল্পনা নিয়ে এগচ্ছে তার পিছনে জামাতের পূর্ণ মদত আছে বলে খবর। ছাত্ররা দল গড়লে সেই পার্টির সঙ্গে জামাতের বোঝাপড়া হতে পারে।
শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে জামাত ও বিএনপি-কে পাশাপাশি হাঁটতে দেখা গিয়েছে। অতীতে দুই দলের নির্বাচনী জোটও ছিল। কিন্তু হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বিএনপি-জামাতের দূরত্ব বেড়েছে। বিএনপির দ্রুত নির্বাচনের দাবি বারে বারে খারিজ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।