শেষ আপডেট: 10th August 2024 12:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের দুপুর ১টার মধ্যে পদত্যাগের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিল বাংলাদেশের কোটা-বিরোধী ছাত্ররা। শনিবার বেলা ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এই আল্টিমেটাম দেন। সকাল সাড়ে ১০টার পর আদালতের ভিতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। শেষ পাওয়া পর্যন্ত খবরে জানা গিয়েছে, আদালত চত্বর এখন পুরোপুরি ছাত্রদের দখলে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে অবিলম্বে পদত্যাগের চূড়ান্ত সময় ও যে কোনও প্রকার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। একই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া আসিফ মাহমুদ। আসিফ মাহমুদ বলেন, ফ্যাসিবাদের মদতপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সঙ্গে কোনওপ্রকার আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছেন। পরাজিত শক্তির যে কোনও প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি বলেন, আমরা আগেই প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। শনিবার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। বলা হয়, সবাই দ্রুত ১০টার মধ্যে কার্জন হলের গেটে আসুন, আদালত ঘেরাও করা হবে। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে উসকানি দিলে এর ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে। অবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করুন এবং ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করুন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা দেখেছি শত শহিদের রক্তে কেনা স্বাধীনতাকে বানচাল করার জন্য অপশক্তি, পরাজিত শক্তি চেষ্টা করছে। আমরা তাদের প্রতিহত করব, প্রতিরোধ করব। এজন্য সবাই রাজপথে নেমে আসুন।
তারপরেই সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট বাতিল করা হয়। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ অনুসারে, এই ফুল কোর্ট সভা আজ, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা প্রথম আলোকে বলেন, ফুল কোর্ট সভা হচ্ছে না, বন্ধ করা হয়েছে।