অগাস্ট, ২০২৪। অত্যাচারের মুখে প্রাণ বাঁচাতে ভারত সীমান্তে জড়ো হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকেরা
শেষ আপডেট: 1st January 2025 14:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নির্যাতিত হিন্দুরা দলে দলে ভারতে চলে আসার চেষ্টা করলেও সে দেশের সরকার তা মানতে চায়নি। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দক্ষিণবঙ্গ রিজিয়নের হিসাব কিন্তু উল্টো কথা বলছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী গত বছরের অগাস্ট থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরনোর সময় ৭১৬ জন বাংলাদেশি বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে।
নিএসএফ-কে উদ্ধৃত করে বিবিসি বলেছে, ধৃতদের ৩০১জন হিন্দু, ৪১৫ জন মুসলমান। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিবিসি বলেছে, অস্থির পরিস্থিতিতেও মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা সংখ্যায় বেশি।
যদিও জনসংখ্যার অনুপাত বিবেচনায় রেখে পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে নির্যাতনের মুখে দেশ ছাড়তে চেয়ে সীমান্তে ধৃতদের ৪২ শতাংশ হিন্দু। সেখানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার মাত্র আট শতাংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে বিএসএফের ওই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর কী ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন হয়েছিল, যে তারা দেশে থাকা নিরাপদ মনে করেনি। রাজনৈতিক কারণে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন মুসলিমরাও। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের হিসাব মতো ৫ অগাস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৪১৬ জন মুসলিম সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে।
বিএসএফ-কে উদ্ধৃত করে বিবিসি বলেছে, ২০২২ এবং ২০২৩-এর তুলনায় ২০২৪-এ বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বেশি হলেও তা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ৫ অগাস্টের পর দ্রুত সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। এখন জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে যারা ধরা পড়ছে তাদের বেশিরভাগই আগে ভারতে প্রবেশ করেছে। হালে তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।