শেষ আপডেট: 30th September 2024 13:37
দ্য ওয়াল ব্যূরো: বাংলাদেশের পটুয়াখালি জেলায় আটজন হিন্দু ইসলামি আন্দোলনে যোগদান করেছেন। এই ঘটনা জানাজানি হতে শোরগোল শুরু হয়েছে। ধর্ম নির্বিশেষে অনেকেই অভিযোগ করছেন, সংখ্যালঘুদের অসহয়তার সুযোগ নিয়ে চাপ দিয়ে সদস্যপদ নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
পটুয়াখালি বাংলাদেশের উপকূলীয় বিভাগ বরিশালের একটি জেলা। রবিশাল বিভাগে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাস তুলনামূলকভাবে বেশি। পটুয়াখালি জেলার কলাপাড়া এলাকায় সোমবার প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে বাবুল শীল, বরুণ শীল, তরুণ শীল, অভিনাশ শীল, তন্ময় শীল, অপূর্ব শীল, তপন ভক্ত, ও দ্বীপক ভক্তরা যোগদান করেন। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ গত সপ্তাহে জানায় হালে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন শুরু হলে বরিশালে ৮৬টি হামলার ঘটনা ঘটে।
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ সে দেশের একটি কট্টরপন্থী রাজনৈতিক দল। গোড়ায় নাম ছিল ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলন। ১৯৮৭ সালে তৈরি এই দল বিভিন্ন জোটের শরিক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশে ইসলামি শাসনতন্ত্র কায়েম দলটির লক্ষ্য। আসন না পেলেও বাংলাদেশের শেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়াই করে দলটি প্রাপ্ত ভোটে তৃতীয় স্থানে ছিল। নয়ের দশকে তসলিমা নাসরিনকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া ও তাঁর ফাঁসির দাবিতে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ সামনের সারিতে ছিল।
দলটির কেন্দ্রীয় মহা সচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বরিশাল বিভাগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার সভাপতি মুফতি হাবিবুবর রহমানেরা যোগদান অনুষ্ঠানে দাবি করেন, সনাতন ধর্মের আটজন ইসলামি আন্দোলনের কাজকর্মের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে দলে যোগ দিয়েছেন। সেই অনুষ্ঠানে যোগদানকারীদের তরফে জানানো হয়, অন্য দলগুলির তুলনায় ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ অনেক পরিচ্ছন্ন দল। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, তোলাবাজির অভিযোগ নেই। তাই এই দলকে বেছে নিয়েছেন।