শেষ আপডেট: 4th November 2024 11:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে গত চার মাসে দলের ৩৭০ জন নেতা-কর্মী-সমর্থক খুন হয়েছেন বলে আওয়ামী লিগের দাবি। দলের তরফে সোমবার সমাজ মাধ্যমে নিহতদের নাম পরিচয় সহ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।এরমধ্যে ২২৮ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। কুপিয়ে ও পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ৫০ জন করে মোট ১০০ জনকে। ২৩ জন মারা গিয়েছেন গুলিবিদ্ধ হয়ে। শেখ হাসিনার দল জানিয়েছে, নিহতদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা যায়নি। প্রশাসন কোনও তথ্য দিচ্ছে না। সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সংবাদমাধ্যমও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করছে না। নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হবে।
জুলাই মাসে বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু করে ছাত্ররা। ছাত্রদের দাবি মেনে সুপ্রিম কোর্ট সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ নানা ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশ কোটা কমিয়ে সাত শতাংশ করে দেয়।
সেই দাবি মেটার পর অগাস্টের গোড়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এক দাবি-এক দফা ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আন্দোলন শুরু করে। তার আগে থেকেই আওয়ামী লিগের নেতা, কর্মী, সমর্থকেরা আন্দোলনরত ছাত্র ও তাদের সহযোগীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
জুলাইয়ে নিহত হন দলের ২২ নেতা-কর্মী।
৫ অগাস্ট আওয়ামী লিগ সরকারের পতন হয় শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ায়। ওই মাসে ৩১৭ জন নেতা-কর্মী-সমর্থক খুন হয়েছে বলে আওয়ামী লিগ জানিয়েছে। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে যথাক্রমে ১১ ও ২২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে শেখ হাসিনার দল।
সোমবার আওয়ামী লিগ জানিয়েছে, দল নিহত কর্মী সমর্থকদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণের চেষ্টা চালাচ্ছে। আওয়ামী লিগের এক প্রথমসারির নেতা বলেন, নিহতদের পরিবারের তরফে সরকারের কাছে দেহের ময়না তদন্তের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রিপোর্ট দিচ্ছে না। সত্য চাপা দিতে অনেক নিহত কর্মীর দেহের ময়না তদন্ত করতে দেয়নি ছাত্ররা। বহু দেহ লোপাট করে দেওয়া হয়েছে।
ওই নেতা জানান, নিহতের বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হবে। এছাড়া তালিকা পাঠানো হবে রাষ্ট্রসংঘের তদন্তকারী দলের কাছেও।