শেষ আপডেট: 9th August 2024 19:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতিও। শুক্রবার নতুন করে কোনও অশান্তির খবর নেই। তবে এখনও ডিউটি পালনের জন্য থানায় যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না পুলিশ কর্মীরা। শুক্রবার সকালেও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হেল্পলাইনে ফোন করলে জবাব এসেছে, পুলিশ নেই!
এমন পরিস্থিতিতে অবশ্য শুক্রবার বিকেল থেকে সেনার পাহারায় ঢাকা মহানগর পুলিশের ২৯টি থানায় কাজ শুরু হল বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস দেশবাসীকে আইনে আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে এখনও বিশেষ ভরসা পাচ্ছেন না খোদ পুলিশ কর্মীরাই। পুলিশের অবশ্য এমন আতঙ্কের পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। অগস্টের গোড়া থেকে নতুন করে হিংসা পরিস্থিতিতে বেশ কিছু পুলিশ কর্মীর মৃ্ত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত রবিবার এনায়েতপুর থানা ছেড়ে পালানো ১৪ জন পুলিশকে যেভাবে খুঁজে এনে পিটিয়ে মেরেছিল হামলাকারীরা, তাতে যারপরনাই আতঙ্কিত খোদ পুলিশ কর্মীরাই।
উল্লেখ্য, গত রবিবার বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ঢুকে ১৩জন পুলিশ কর্মীকে হামলাকারীরা পিটিয়ে হত্যা করাে। খুনের নির্মমতা বর্ণনা করতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, হামলার মুখে আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিলেন থানায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। কিন্তু তাতে এতটুকুও নরম হয়নি আন্দোলনকারীরা। শেষমেশ প্রাণে বাঁচতে প্রায় ৪০ জন পুলিশ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। থানার ছাদে, পাশের বাড়িতে, শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন কয়েকজন। সব জায়গা থেকে খুঁজে খুঁজে এনে একে একে ১৪ জনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
তারপর থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেছেন পুলিশের সিংহভাগ কর্মী। এক পুলিশ কর্মীর কথায়, "বেঁচেই যদি না থাকি তাহলে ডিউটি করব কীভাবে? আগে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক, তারপরে না হয় ডিউটি!"