শেষ আপডেট: 26th October 2024 11:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশের দুই শীর্ষস্থানীয় অর্থকর্তাকে গ্রেফতার করতে তৎপরতা শুরু করেছে মার্কিন পুলিশ। দেশের অর্থ উপদেষ্টা জজ সালাউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর আহসন এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়াযনা নিয়ে মার্কিন পুলিশ নিউইয়র্কের হোটেলে হানা দেয়। তার আগেই শীর্ষস্থানীয় দুই কর্তাকে ম্যারিল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় নেন। কূটনৈতির বিধি অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি ছাড়া মার্কিন পুলিশ দূতাবাসে ঢুকতে পারবে না। দূতাবাস কর্তাদের হাতে গ্রেফতারি পরোয়ানার কপি ধরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। প্রশ্ন হল, গ্রেফতারি এড়াতে দুই কর্তা কতদিন রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে কতদিন থাকতে পারবেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির নেই। দুই অর্থকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন কোম্পানি আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে। সেই মামলায় গত বুধবার আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ থাকলেও দু’জনেই তা এড়িয়ে যান।
গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার মার্কিন উচ্চ আদালতে আপিল করেছে। প্রাথমিক শুনানিতে আপিল গ্রাহ্য হয়নি। এই অবস্থায় মার্কিন মিত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস।
গতমাসেই নিউইয়কে ইউনুসের সঙ্গে দেখা হয়েছিল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে। বাইডেন প্রশাসনের উপর ক্লিনটনের যথেষ্ট প্রভাব আছে। ঢাকার সরকারি সূত্রের খবর, ইউনুস তাঁর দুই সহকারী সালাউদ্দিন আহমেদ ও আহসন এইচ মনসুরকে গ্রেফতার না করে দেশে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগী হতে ক্লিনটন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
যদিও মার্কিন আদালতের রায় বদলে সরকারের তরফে কিছুই করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে না ওয়াকিবহাল মহল। বাংলাদেশ সরকার একাধিক মার্কিন আইনজীবী নিয়োগ করেছে আদালতে লড়াইয়ের জন্য।
শনিবারই অর্থ উপদেষ্টা সালাউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর আহসন এইচ মনসুরের বিশ্বব্যাঙ্কের বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সেই বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। মার্কিন পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করলে দেশের পাশাপাশি ইউনুস সরকারের জন্য তা হবে চরম লজ্জার। ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে অনেকে ইউনুসকে কটাক্ষ করে বলতে শুরু করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার দেশের ক্ষমতা দখল করেছেন। এবার সে দেশ থেকে নিজের মিত্রদের সসম্মানে ফিরিয়ে আনা আপনার কর্তব্য।