দ্য ওয়াল ব্যুরো : শনিবার বেলা সাড়ে ১০ টায় অযোধ্যা মামলার রায় শোনাবে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি কয়েক দফা টুইট করে বলেছেন, অযোধ্যা রায়ে কারও জয় বা পরাজয় হবে না। দেশের নাগরিকদের কাছে সবচেয়ে যা গুরুত্বপূর্ণ, তা হল শান্তি বজায় রাখা।
তাঁর কথায়, “গত কয়েক মাস ধরে সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত শুনানি হয়েছে। সারা দেশ শুনানির ওপরে নজর রেখেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। তাঁদের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।”
অপর একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, ”আমি দেশবাসীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, অযোধ্যা রায়ের পর আমাদের শান্তি ও সৌহার্দ্যের ঐতিহ্য যেন অটুট থাকে।”
अयोध्या पर कल सुप्रीम कोर्ट का निर्णय आ रहा है। पिछले कुछ महीनों से सुप्रीम कोर्ट में निरंतर इस विषय पर सुनवाई हो रही थी, पूरा देश उत्सुकता से देख रहा था। इस दौरान समाज के सभी वर्गों की तरफ से सद्भावना का वातावरण बनाए रखने के लिए किए गए प्रयास बहुत सराहनीय हैं।
— Narendra Modi (@narendramodi) November 8, 2019
देश की न्यायपालिका के मान-सम्मान को सर्वोपरि रखते हुए समाज के सभी पक्षों ने, सामाजिक-सांस्कृतिक संगठनों ने, सभी पक्षकारों ने बीते दिनों सौहार्दपूर्ण और सकारात्मक वातावरण बनाने के लिए जो प्रयास किए, वे स्वागत योग्य हैं। कोर्ट के निर्णय के बाद भी हम सबको मिलकर सौहार्द बनाए रखना है।
— Narendra Modi (@narendramodi) November 8, 2019
अयोध्या पर सुप्रीम कोर्ट का जो भी फैसला आएगा, वो किसी की हार-जीत नहीं होगा। देशवासियों से मेरी अपील है कि हम सब की यह प्राथमिकता रहे कि ये फैसला भारत की शांति, एकता और सद्भावना की महान परंपरा को और बल दे।
— Narendra Modi (@narendramodi) November 8, 2019
অযোধ্যা রায়ের পরে শান্তি বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন হিন্দু ও মুসলিম সংগঠনও আর্জি জানিয়েছে। দেশের নানা প্রান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। অযোধ্যা শহরকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। উত্তরপ্রদেশ সরকার নির্দেশ দিয়েছে, প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষায়তনকে শনিবার ও সোমবার বন্ধ রাখতে হবে। উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকার দু’টি হেলিকপ্টার তৈরি রেখেছে। একটি কপ্টার থাকবে লখনউতে, অপরটি থাকবে অযোধ্যায়।
সেই আটের দশক থেকে অযোধ্যায় ২.৭৭ একরের একখণ্ড জমি নিয়ে বিভিন্ন হিন্দু ও মুসলিম সংগঠনের মধ্যে বিরোধ চলছে। হিন্দুত্ববাদীদের বিশ্বাস, ভগবান রামের জন্মস্থানের ওপরে ষোড়শ শতকে বাবরি মসজিদ গড়ে উঠেছিল। ১৯৯২ সালে উন্মত্ত করসেবকরা সেই মসজিদ ধ্বংস করে ফেলে। তারপর দেশ জুড়ে দাঙ্গা বাঁধে। প্রায় ৩ হাজার মানুষ খুন হন।