ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 5th February 2025 21:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিজের সংস্থার জন্য ‘চিফ অফ স্টাফ’ চেয়ে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল জোম্যাটো। আর তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কম হইচই হয়নি। বিজ্ঞাপন নিয়ে বিতর্কের মুখেও পড়তে হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থাটিকে।
এবার সমস্ত বিতর্ক উড়িয়ে জোম্যাটোর সিইও তথা সহ-প্রতিষ্ঠাতা দীপিন্দর গয়াল জানিয়েছেন, ১৮ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। সেখান থেকে ৩০ জনকে বেছে নেওয়ার পর সরাসরি তাঁদের চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ১৮ জন ইতিমধ্যে জোম্যাটো ও ব্লিঙ্কিটে যোগ দিয়েছেন।
'চিফ অফ স্টাফ' পদে চাকরির আবেদন প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য বুধবার লিঙ্কডইনে আপলোড করে তিনি জানান, যাদের নিয়োগ করা হয়েছে তাঁরা অন্যদের থেকে কিছুটা ব্যতিক্রমী। প্রত্যেকেরই নিজস্ব স্টার্টআপ ছিল। এই নির্বাচনের প্রক্রিয়া যে খুব সহজ ছিল না সে কথাও উঠে আসে দীপিন্দরের কথায়। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে ১৮ জন সংস্থায় যোগ দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে চারজন গয়ালের সঙ্গে কাজ করেন এবং দু'জন চিফ অফ স্টাফের ভূমিকা সামলান।
দীপিন্দর এরপরই বিতর্ক উসকে দিয়ে জোর গলায় জানান, যাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সংস্থাকে এক পয়সাও দেননি। উল্টে তাঁদের কথা ভেবে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়। তিনি ফের বলেন, আমাদের সঙ্গে কাজের জন্য কোনও টাকাই দিতে হয় না। যোগ্যতার নিরিখে সুযোগ মেলে।
গত নভেম্বরে সংস্থার জন্য ‘চিফ অফ স্টাফ’ চেয়ে একটি পোস্ট করেন জোম্যাটোর সিইও তথা সহ-প্রতিষ্ঠাতা দীপেন্দ্র গয়াল। সেই বিজ্ঞাপনে তিনি জানান, সংস্থার জন্য এক জন যোগ্য ‘চিফ অফ স্টাফ’ খুঁজছেন তাঁরা। তবে চাকরি করলেও প্রথম বছর বেতন হিসাবে এক টাকাও পাবেন না সেই কর্মী। উল্টে পকেট থেকে জোম্যাটোর দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ২০ লক্ষ টাকা দান করতে হবে।
তবে জোম্যাটোও তাঁদের নিরাশ করবে না। ওই কর্মী কোনও কারণে অসুস্থ হলে সংস্থার তরফে চিকিৎসার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা দান করা হবে, যা এক জন ‘চিফ অফ স্টাফ’-এর এক বছরের বেতনের সমান। দ্বিতীয় বছরের শুরু থেকে ওই কর্মীকে বেতন দেওয়া শুরু করবে জোম্যাটো। তবে বেতনের সেই অঙ্ক অবশ্যই ৫০ লক্ষের বেশি হবে। দীপিন্দরের দেওয়া সেই পোস্ট থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
যদিও কেন এই ভাবে চাকরির বদলে টাকা দান করার কথা বলছেন, সে কথা নিজের পোস্টে ব্যাখ্যা করেন জোম্যাটোর সিইও। তিনি লিখেছিলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে, যাঁরা এই চাকরির জন্য আবেদন করবেন, ভাল বেতনের চাকরির জন্য নয়, কাজ শেখার সুযোগের জন্য তাঁদের আবেদন করা উচিত। পাশাপাশি ভাল কথা বলার ক্ষমতা ও মাটির মানুষ হতে হবে।
দীপেন্দ্রের সেই যুক্তি সামনে আসতেই বিভিন্ন মহলে শোরগোল পড়ে। অনেকেই দাবি তোলেন , জোম্যাটো যেভাবে চাকরির বিনিময়ে টাকা তুলছে তা শ্রম আইনের পরিপন্থী। প্রশ্ন ওঠে, কত জনের পকেটের এত জোর যে তাঁরা চাকরির জন্য ২০ লক্ষ টাকা দান করতে পারবেন? এবার সব বিতর্কের জবাব দিতে নিজেই আসরে নামলেন দীপিন্দর।