ছবিটি প্রতীকি
শেষ আপডেট: 5 May 2025 07:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দক্ষিণ কাশ্মীরের (South Kashmir) কুলগামের (Kulgam) এক তরুণের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হয়েছে শাসক ও বিরোধী শিবিরের একাধিক দল। ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত (judicial enquiry) দাবি করেছে মৃত তরুণের পরিবার ও দলগুলি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সেনা ও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত তরুণের নাম ইমতিয়াজ আহমেদ মাগরে (Imtiaz Ahmad Magrey) । বাড়ি কুলগামের তাংমাগরেতে। পরিবারের দাবি, দিন কয়েক আগে সেনা বাহিনীর একটি দল এসে ইনতিয়াজতে তুলে নিয়ে যায়। কাজের সন্ধানে যাওয়া ভিন রাজ্য থেকে কাশ্মীরের বাড়িতে দিন পনেরো আগে ফিরেছিল সে। রবিরার তাঁর দেহ স্থানীয় নদীতে ভাসতে দেখা যায়।
পুলিশের দাবি, জঙ্গি ঘাঁটির সন্ধান দিতে ইমতিয়াজকে নিয়ে নদী পেরনোর সময় সে ঝাঁপ দেয়। সে চেষ্টা করেছিল নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালাতে। কিন্তু তীব্র স্রোতে সম্ভব হয়নি।
তরুণের পরিবার এবং রাজনৈতিক দলগুলি পুলিশের বয়ান মানতে নারাজ। তাদের অভিযোগ, সেনা-পুলিশের হেফাজতে থাকা ইমতিয়াজের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা দরকার। সে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে থাকলে পরিবারকে সঙ্গে সঙ্গে তা জানানো হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়। মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে হইচই শুরু হয় নদী থেকে দেহ উদ্ধারের পর।
দিল্লির মতো নির্বাচিত সরকার ক্ষমতাসীন থাকলেও জম্মু-কাশ্মীরের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের ভার কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেত্রী শাকিনা ইত্তো মৃত ইমতিয়াজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। রাজ্যের উপ রাজ্যপালের উদ্দেশে বলেছেন, পহেলগামের হত্যাকাণ্ডে গোটা জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ শোকাহত। এই ঘটনার জেরে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করা হলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। উপ রাজ্যপালের উচিত ওই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করানো।
পুলিশের দাবি, ইমতিয়াজের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগের কথা সে জেরায় স্বীকার করেছিল। একটি জঙ্গি ঘাঁটি চিনিয়ে দিতে তাঁকে নিয়ে বেরিয়েছিল তদন্তকারীরা। ওই সময়ের ভিডিও চিত্র ড্রোনে ধরা আছে।
নিহতের বাড়িতে যান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিও। তিনিও ঘটনার নিন্দা করেন। বলেন, পহেলগামের ঘটনার তদন্তের নামে নিরীহ কাশ্মীরিদের নিশানা করা দুর্ভাগ্যের। তিনিও বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।