ইউটিউবে প্রশিক্ষণ! এটিএমে কার্ড ছাড়াই দিব্যি টাকা তুলে নিলেন যুবক, যদিও শেষ রক্ষা হল না

দ্য ওয়াল ব্যুরো: জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ, সবই এখন ইউটিউবের দৌলতে চোখের সামনে ধরা দেয়। সেই ইউটিউব থেকেই কীভাবে এটিএম জালিয়াতি করতে হয়, তার ধারণা মিলেছিল। এরপরই জালিয়াতিতে হাত পাকাতে শুরু করেন বিহারের দুই যুবক। তবে শেষরক্ষা অবশ্য হয়নি। এটিএম জালিয়াতি করে টাকা হাতানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন একজন। আরেক যুবক পলাতক। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে।

ধৃত যুবকের নাম সঞ্জীব কুমার। জেরায় পুলিশের কাছে সে জানিয়ে, ইউটিউব থেকে শিক্ষা নিয়ে এটিএম জালিয়াতিতে হাত পাকিয়েছিল। গিরিডির পুলিশ সুপার দীপক কুমার শর্মা জানিয়েছেন, বিহারের বাসিন্দা সঞ্জীবের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল সঞ্জয় কুমার সিং নামে আরেক যুবকের। কীভাবে দ্রুত অর্থ উপার্জন করা যায়, তা নিয়ে ফন্দি আঁটে তারা। এটিএম প্রতারণা কীভাবে সহজে করা যায়, সেই বিষয়ে ইউটিউবে জানতে পারে দুই যুবক। শুধু তাই নয়, কীভাবে সোয়াইপ না করে এটিএমের ভিতর থেকে নগদ তোলা যায় সেই বিষয়ে ইউটিউব থেকেই শেখে তাঁরা। এরপরই এটিএম জালিয়াতি করার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।

এটিএম জালিয়াতির সময়ে যাতে তাঁদের দেখা না যায় সেই প্রযুক্তি ইউটিউব থেকেই রপ্ত করেছিল দুই যুবক। জেরায় পুলিশের কাছে এমনটাই দাবি করে সঞ্জীব। যদিও এবারই প্রথম নয়, এর আগে কোডারমাতে আরও একটি এটিএম জালিয়াতি করেছিল দুই যুবক। তবে এবার জালিয়াতির সময় পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় সঞ্জীব। 

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার দিন গিরিডির একটি এটিএমে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। ১০ হাজার টাকা তোলার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু টাকা না পেয়ে, পাশের অন্য একটি এটিএমে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। যাওয়ার সময় নিজের এক পরিচিতকে আগের এটিএমের সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে দিয়েছিলেন। পরিচিত ওই ব্যক্তি সঞ্জীব ও সঞ্জয়কে কারসাজি করে এটিএম থেকে টাকা তুলতে দেখেছিলেন। এরপরই পালানোর সময়ে স্থানীয়রা সঞ্জীবকে ধরে ফেললেও সঞ্জয় পালিয়ে যায়।

এমন দু:সাহসিক জালিয়াতির ঘটনায় নড়েচড়ে বসে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। ইতিমধ্যে ইউটিউবে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইউটিউবে যাতে অপরাধমূলক ভিডিও না দেওয়া হয় সেদিকে নজর রাখার জন্য আবেদন করা হয়েছে।