শেষ আপডেট: 8th November 2024 18:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যোগ অভ্যাসের ক্লাস থেকে ফেরার সময় অপরহণ করে দুষ্কৃতীরা। যোগ চর্চাই বাঁচাল বেঙ্গালুরুর মহিলার প্রাণ। চিক্কাবাল্লাপুরের জেলার ঘটনা। একটি জঙ্গলে ওই মহিলাকে জ্যান্ত পুঁতেও দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।
যোগ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন বছর পয়ত্রিশের অর্চনা। তিনি পেশায় যোগ শিক্ষক। তাঁকে কয়েকজন দুষ্কৃতী রাস্তা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় চিক্কাবাল্লাপুরের একটি জঙ্গলে। মহিলার অভিযোগ, সেখানে তার ওপর অত্যাচার চালানো হয়, তারপর মারা গিয়েছে ভেবে তাঁকে পুঁতে ফেলা হয়।
দুষ্কৃতীরা চলে গেলে সেখান থেকে উঠে মহিলা পুলিশে খবর দেন। পুলিশে গিয়ে পুরোটা জানালে শুরু হয় তদন্ত। উঠে আসে মহিলারই পরিচিত একজনের নাম।
জানা যায়, বিন্দু নামের এক মহিলা অর্চনাকে সন্দেহ করেন। তিনি মনে করেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে অর্চনার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। সেই সন্দেহের জেরেই খুনের চেষ্টা বলে অভিযোগ।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে, এই বিন্দুই ওই মহিলাকে মারার জন্য গুণ্ডা ভাড়া করেন। তারপর সেই গুণ্ডাদের দিয়ে খুনের ছক কষেন।
অর্চনার যোগাভ্যাস তাঁকে নতুন জীবন দেয়। অর্চনা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁকে যখন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় তখন তিনি তখন মরে যাওয়ার অভিনয় করেন। যোগ ব্যায়াম করেন তাই দম ধরে রাখার অভ্যাস রয়েছে। এই অভ্যাসকে কাজে লাগিয়েই তিনি নিজেকে বাঁচান।
এবিষয়ে চিক্কাবাল্লাপুরের পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট ডি এল নাগেশ বলেন, '২৪ অক্টোবর আমরা একটা অভিযোগ পাই, জানতে পারি অর্চনা বলে এক মহিলাকে অপহরণ করা হয়েছে। অত্যাচারও করা হয়েছে, প্রায় মেরেই ফেলা হয়েছিল। জানা যায়, বিন্দু নামের এক মহিলা সন্তীশ রেড্ডি নামের একজনকে এর জন্য নিয়োগ করেন। যিনি নিজেকে গোয়েন্দা বলে দাবি করেন। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।'