শেষ আপডেট: 14th March 2025 08:19
বর্ণিহাটের পর বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় রয়েছে দিল্লি, কাজাখস্তানের কারাগান্ডা, পাকিস্তানের লাহোর এবং ভারতের ফরিদাবাদ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির বায়ুদূষণ আরও বেড়েছে এবং এটি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানী হিসেবে রয়ে গেছে। শহরটির বার্ষিক গড় PM2.5 ২০২৩ সালে ১০২.৪ মাইক্রোগ্রাম ছিল, যা ২০২৪ সালে বেড়ে ১০৮.৩ মাইক্রোগ্রামে পৌঁছেছে।
তবে সামগ্রিকভাবে ভারতে PM2.5 ঘনত্ব ২০২৪ সালে ৭% হ্রাস পেয়েছে। ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৫৪.৪ মাইক্রোগ্রাম, যা ২০২৪ সালে ৫০.৬ মাইক্রোগ্রামে নেমে এসেছে।
বিশ্বের ২০টি সবচেয়ে দূষিত শহরের মধ্যে ১৩টিই ভারতের। বর্ণিহাট, দিল্লি, ফরিদাবাদ ছাড়াও তালিকায় রয়েছে পাঞ্জাবের মুল্লানপুর, লোনি, গুরুগ্রাম, গঙ্গানগর, গ্রেটার নয়ডা, ভিওয়াড়ি, মুজফ্ফরনগর, হনুমানগড় ও নয়ডা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতের ৩৫% শহরে বার্ষিক PM2.5 মাত্রা WHO-র নির্ধারিত সীমার ১০ গুণ বেশি।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা দাবি করেছেন, রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্যমতে বর্ণিহাটের বাতাস ‘সন্তোষজনক’ পর্যায়ে থাকলেও অসমের কেন্দ্রীয় বন পরিষেবা একাডেমির স্টেশনে ‘খারাপ ও খুব খারাপ’ বায়ু মান রেকর্ড করা হয়েছে। তাই বর্ণিহাটের দূষণের মূল উৎস সম্ভবত অসমের শিল্পকারখানা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্ণিহাটের অসম সীমান্তে ২০টি উচ্চ-দূষণশীল শিল্প রয়েছে, যেখানে মেঘালয়ের অংশে মাত্র ৫টি। তিনি জানিয়েছেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
সাংমা বলেন, ‘এই প্রতিবেদন আমাদের সবার জন্য উদ্বেগের। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টিতে নজর দেব। কারণ, আমরা চাই না যে আমাদের রাজ্যকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় নামানো হোক, বিশেষ করে যখন পর্যটন আমাদের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’ সাংমা আরও জানান, দূষণ রোধে যৌথভাবে পদক্ষেপ নিতে মেঘালয় ও অসমের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে, কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং বর্ণিহাটের বায়ুর গুণমান উন্নত করতে হবে।’